সরাসরি নগদ অর্থ প্রদান ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশের মন্দা কাটাতে চাইছে কেন্দ্র
সরাসরি নগদ অর্থ প্রদান ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশের মন্দা কাটাতে চাইছে কেন্দ্র
দীর্ঘ লকডাউনে প্রায় শীতঘুমে চলে গিয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। আনলক ১.০ শুরুর মুখেই তাই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন পরিকাঠামোগত উন্নতি এনে চাহিদা বৃদ্ধির উপর জোর দিতে চলেছে মোদী সরকার। সূত্রের খবর, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেটে একাধিক রদবদল করে অর্থনীতি চাঙ্গা করার কথা ভাবা হচ্ছে।
সরাসরি টাকা হস্তান্তরের ভাবনা
দুই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের মতে, মূলত বিনিয়োগকারী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরাসরি আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে পরিকাঠামোর উন্নতিসাধনের চেষ্টা হবে। অদূর ভবিষ্যতে চাহিদায় জোয়ার আনতেই বর্তমানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, "আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমরা পরিকাঠামোর উপর জোর দিচ্ছি, যাতে চাহিদা বৃদ্ধি হয়। তাহলেই নতুন করে কর্মক্ষেত্রের সৃষ্টি হবে।"
বাজেট বৃদ্ধির সম্ভাবনা
২০২১ অর্থবর্ষের বাজেটের পরিমাণ প্রায় ৪,১২,০০০ কোটি টাকা। দুই সরকারি আধিকারিকের মতে, পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্যে আগামী বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা ভাবা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে আধিকারিকরা জানান, "এখন আর বার্ষিক বাজেট আগের মত নেই। বিদেশি ও বেসরকারি বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলিকে আকর্ষণ করার লক্ষ্যে বাজেটের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ানো হচ্ছে।" এপ্রিলের শেষে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইন(এনআইপি) রিপোর্ট জমা করে। রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, ২০২০-২৫ অর্থবর্ষে খরচ হবে প্রায় ১,১১,০০,০০০ কোটি যার ৪০% কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে বহন করবে।
পরবর্তী ২-৩ বছরের মধ্যে অধিকাংশ বিনিয়োগ
এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিকের জানান, "এনআইপিকে আর্থিক সাহায্য করা হবে এবং লকডাউনের পূর্বের নির্ধারণ অনুযায়ী, পরবর্তী দুই-তিন বছরের মধ্যেই অধিকাংশ বিনিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।" এই মাসের শুরুর দিকে, ক্যাবিনেটের তরফে 'এমপাওয়ারড গ্রুপ অফ সেক্রেটারিস'(ইজিওস) ও প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট সেলস(পিডিসিএস) গঠনের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
স্থানীয় কর্মক্ষেত্রগুলির উন্নতিকল্পে ভাবনা সরকারের
বর্তমানে কেন্দ্র সরকার জনধন অ্যাকাউন্টে সরাসরি আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে পরিকাঠামোয় রদবদল আনার কথা ভাবছে। পিএম গরিব কল্যাণ এবং আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের মাধ্যমে বয়স্ক ও নারীদের এককালীন অর্থ পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তবে সূত্রের খবর, আত্মনির্ভর প্যাকেজ ছাড়া অন্যান্য গ্রাম উন্নয়ন বা জন উন্নয়ন প্যাকেজে বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।
আত্মনির্ভর ভারত গড়তে বাংলার ব্যবসায়ীদের যে টার্গেট দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!