আম্ফানের মতই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে Cyclone Tauktae! আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের
ক্রমশ এগিয়ে আসছে বছরের প্রথম সাইক্লোন। আর সেই সাইক্লোন আম্ফানের মতই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলে অনুমান। যদিও ঠিক কতটা গতি নিয়ে ধেয়ে আসবে সেই ঝড়, তা এখনও স্পষ্ট নয়।তবে এটি যে দ্রুত ঘনীভূত হচ্ছে, সেই পূর্বাভাস পাচ্ছেন
ক্রমশ এগিয়ে আসছে বছরের প্রথম সাইক্লোন। আর সেই সাইক্লোন আম্ফানের মতই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলে অনুমান। যদিও ঠিক কতটা গতি নিয়ে ধেয়ে আসবে সেই ঝড়, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে এটি যে দ্রুত ঘনীভূত হচ্ছে, সেই পূর্বাভাস পাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
মৌসম ভবনের সাইক্লোন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সুনিতা দেবী জানিয়েছেন, এই সাইক্লোনের সঙ্গে আম্ফানের মিল পাওয়া যাচ্ছে। তবে ঠিক কেমন আকার ধারণ করবে এই ঝড় তা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে।
তবে পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে ঝড় যে শক্তিশালী হবে তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এবং এর জন্যে প্রস্তুত থাকতেও বলেছেন সুনিতা দেবী। একই সঙ্গে মৌসম ভবনের এই আধিকারিক জানাচ্ছেন, এই ঝড় ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে সে বিষয়ে এখনও ধারণা পাওয়া যায়নি।
তবে গুজরাট উপকুলেই এই সাইক্লোনের ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঝড়ের তাণ্ডবলীলার আশঙ্কায় দেশের পশ্চিম প্রান্তের উপকূলীয় একাধিক রাজ্য। কেরল থেকে গুজরাত উপকূল তট ধরে নিরাপত্তাজনিত একাধিক বন্দোবস্ত নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আবহাওয়ার পূর্বাভাস আগেই ছিল । আর সেই অনুযায়ী কেরলের বুকে অঝোরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। কেরলের কোট্টায়ামে ইতিমধ্যেই প্রবল বর্ষণ দেখা গিয়েছে। এই বর্ষণ আগামী ১৫ মে পর্যন্ত চলবে বলে খবর। কেরল জুরে বেশ কয়েকটি জায়গায় 'ইয়েলো সতর্কতা' জারি হয়ে গিয়েছে। তবে বৃষ্টির গতিবেগ যেভাবে বাড়ছে তাতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে এখন।
আইএমডির তরফে জানানো হয়েছে, রাত পোহালেই ১৪ মে এরব সাগরের বুকে নিম্নচাপের ঘনীভবন শুরু হয়ে যাবে। যার জেরে উপকূলবর্তী একাধিক রাজ্যে প্রবল বর্ষণ শুরু হবে। কেরল , লাক্ষাদ্বীপে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার দাপট আগামী ৫ দিন ধরে চলতে শুরু করবে।
এদিকে সাইক্লোনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ইতিমধ্যেই গুজরাতে রুপানি সরকার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। আর তার জেরে এবার যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে ঝড় মোকাবিলায় নামছে সেখানের সরকার। প্রসঙ্গত গুজরাতের সমস্ত জেলাকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, পূর্ব মধ্য আরব সাগরে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় সৌরাষ্ট্র, এবং দক্ষিণ গুজরাত অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে। সঙ্গে থাকবে বর্জ্রগ্রভ মেঘ।
প্রসঙ্গত, একদিকে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত, অন্যদিকে সাইক্লোনের আছড়ে পড়ার আশঙ্কা । এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় জারি হয়েছে সাইক্লোনের সতর্কতা।
এদিকে, উপকূলবর্তী মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে ত্রাণ শিবিরে রেখে আসার ক্ষেত্রে কোভিড প্রটোকল একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৪ এবং ১৫ তারিখ কেরল জুড়ে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
হাওয়া অফিসের তরফে ইতিমধ্যে কেরল সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে। আর এরপরেই সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে জানানো হয়। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজায়ণ টুইট করে রাজ্যবাসীকে ঝড় বৃষ্টির বিষয়ে সতর্ক করেন। শুধু তাই নয়, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকেও এই বিষয়ে অ্যালার্ট থাকার জন্যে বলা হয়েছে।
ঝড় বৃষ্টির পর দ্রুত যাতে উদ্ধারকাজে বিপর্যয় মোকাবিলয়া দফতর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন সে বিষয়ে জানানো হয়েছে অন্যদিকে যারা মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। এখন যাতে সমুদ্রে যাতে তাঁরা না যান সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সমস্ত দিক মিলিয়ে আপাতত ঝড়ের কাউন্টডাউনে দেশ।