২০১৪ সালের পর থেকে মোদী সরকারের আমলে একাধিক পরিবর্তন বাজেটে
মোদী সরকারের দ্বিতীয় দফায় বাজেট অধিবেশন শুরু হতে চলেছে আগামী শনিবার থেকেই। মোদী জামানায় দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতির মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কতটা প্রস্তুত তা জানা যাবে আগামী শনিবারই। উদ্যোগপতি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, অবসরপ্রাপ্ত থেকে বেতনভোগী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কর্পোরেট সংস্থা, সকলেই তাকিয়ে আগামী শনিবারের দিকে। তবে মোদী সরকারের হাত ধরেই বাজেটে এসেছে একাধিক পরিবর্তন। দেখে নিন এক ঝলকে।
পরিবর্তিত বাজেটের তারিখ
২০১৬ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাজেট ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ কর্ম দিবসে পেশ করা হতো, কিন্তু মোদী সরকার ২০১৭ সাল থেকে বাজেট উপস্থাপন তারিখটি পয়লা ফেব্রুয়ারিতে পরিবর্তন করেন।
বদল বাজেট নিয়ে আসার ব্রিফকেসেও
ভারতের ঐতিহ্য মেনে এতদিন ধরে ব্রিফকেসের মধ্যেই বাজেটের নথি নিয়ে আসা হতো। যদিও ২০১৯ সালে সেই প্রথা ভাঙেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমন। গত বছর তিনি বাজেটের নথিপত্র ব্রিফকেসের বদলে লাল কাপড়ে মুড়ে নিয়ে আসেন। যার জন্য সমালোচিত ও হতে হয় তাকে।
কেন্দ্রীয় বাজেটের দিনেই রেল বাজেট
২০১৭ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাজেটের কিছুদিন আগেই পেশ করা হতো রেল বাজেট। কিন্তু সেই প্রথাও ভাঙেন মোদী সরকার। ২০১৭ এর পয়লা সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বাজেট ও রেল বাজেট একই দিনে পেশ করার অনুমতি দেন প্রধানমন্ত্রী।
২ লাখের বেশি আয় হলেই দিতে হবে আয়কর
২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত আড়াই লাখের বেশি আয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কর প্রদান বাধ্যতামূলক ছিল। যদিও ২০১৪ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ঘোষণা করেন বছরে দু লাখের বেশি আয় হলেই কর প্রদান বাধ্যতামূলক।
কমানো হয়েছে ট্যাক্সের পরিমাণ
২ লাখের বেশি রোজগারি দের উপরে ট্যাক্স চাপালেও কমিয়ে দেওয়া হয় ট্যাক্সের পরিমাণ। ২০১৭ সালের বাজেটে ঘোষণা করা হয় যে ২.৫ লাখ থেকে ৫লাখের মধ্যে উপার্জনকারী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে করের পরিমাণ ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশে করা হয়।
ধনীদের জন্য অতিরিক্ত সারচার্জ
২০১৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে মোদী সরকার ধনীদের জন্য করের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। বছরে এক কোটির বেশি আয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ট্যাক্সের পরিমাণ ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়।
এছাড়াও যাদের আয় ৫০ লক্ষ থেকে এক কোটির মধ্যে, তাদের জন্য ১০ শতাংশের সারচার্জ চালু করেন। যাদের যায় ২ কোটি থেকে ৫ কোটির মধ্যে তাদের সারচার্জ ১৫ শতাংশ থেকে বেরিয়ে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়। অন্যদিকে বছরে ৫ কোটির বেশি আয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সারচার্জের পরিমাণ ২২ শতাংশ থেকে বেরিয়ে ৩৭ শতাংশে করা হয় এই মোদী সরকারের আমলেই।