করোনা ভাইরাসের থেকে আতঙ্কেই মরবে বেশি, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট
করোনা ভাইরাসের থেকে আতঙ্কেই মরবে বেশি, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট
করোনা ভাইরাসের থেকে আতঙ্কেই বেশি মানুষের প্রাণ যাবে। এদিন এমনটাই মন্তব্য করেছে সর্বোচ্চ আদালত। ভুল তথ্য কিংবা ভুয়ো খবর যারা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে।
শুনানিতে ২ সদস্যের বেঞ্চ
প্রধান বিচারপতি এসএ ববদে এবং বিচারপতি এল নাগেশ্বরা রাও বিভিড কনফারেন্সে এদিনের শুনানিতে অংশ নেন। তাঁরা বলেন ভুয়ো খবর সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে। তাই অফিসিয়াল প্যানেলের মাধ্যমে এইসব মানুষগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার কথা বলেছেন বিচারপতিরা। যার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস নিয়ে সঠিক খবর পাওয়া যাবে।
কমিউনিটি লিডারদের সাহায্য নিতে হবে
প্রধানবিচারপতি সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে বলেন, ভাইরাসের খেরে আতঙ্কেই বেশি মানুষ মারা যাবেন। সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। সেইসব মানুষগুলোর শক্তি বাড়াতে হবে। সঙ্গে নিতে হবে কমিউনিটি লিডারদেরও। বিষয়টিতে সহমত হয়েছেন সলিসিটর জেনারেলও। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই ব্যবস্থা করা হবে বলে আদালতকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে পরিযায়ী স্রমিকদের নিয়ে শুনানি
পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যেতে যে অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন, তা নিয়ে এদিন সর্বোচ্চ আদালতে এফিডেভিট জমা দেয় সরকার। আদালতে সরকার বলেছে এই ধরনের শ্রমিকদের শেল্টার হোমে রাখা হয়েছে এই লকডাউন সময়ের জন্য।
রাস্তায় কোনও শ্রমিক নেই
এদিন সরকারের তরফ থেকে সর্বোচ্চ আদালতে জানানো হয়েছে, রাস্তায় আর কোনও পরিযায়ী শ্রমিক নেই। সরকার আরও জানিয়েছে প্রায় ৬.৬৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের জন্য অস্থায়ী আবাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে আর ২২.৮৮ লক্ষের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
এদিন সর্বোচ্চ আদালতের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাউন্সেলিং-এর বন্দোবস্ত করা ছাড়াও খাবার, জল, শোয়ার ব্যবস্থা ও ওষুধের ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারকে ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মানুষের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য পোর্টাল খুলতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৭ এপ্রিল।