বাংলায় ভোট পরবর্তী গণ্ডগোল, মমতার সরকারকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারকে (west bengal govt) নোটিশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ২ মে ভোটের ফল বেরনোর পরে দুই বিজেপি (bjp) কর্মীর হত্যা নিয়ে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মৃত বিজেপি নেতার ভাই মৃত্যুর ঘটনা
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) সরকারকে (west bengal govt) নোটিশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ২ মে ভোটের ফল বেরনোর পরে দুই বিজেপি (bjp) কর্মীর হত্যা নিয়ে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মৃত বিজেপি কর্মীর ভাই মৃত্যুর ঘটনায় সিট (sit) কিংবা সিবিআই (cbi) তদন্তের দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন।
মৃত নেতার দাদার আবেদন
বিচারপতি বিনীত সরণ এবং বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের অবসরকালীন বেঞ্জে শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে আবেদন করেছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার নামে এক ব্যক্তি। ভোটের ফল বেরনোর পরবর্তী সময়ে তাঁর ভাই বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হত্যা করেছিল বলে অভিযোগ।
আবেদনে সিট গঠনের দাবি
সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার আবেদনকারী এই ধরনের ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে সিট গঠনের আবেদন করেছিলেন। এব্যাপারে অপর বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে। যাঁকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হত্যা করেছিল বলে অভিযোগ। এব্যাপারে আবেদনটি করেছেন হারান অধিকারীর স্ত্রী।
কাজ করছে না পুলিশ
আবেদনকারীদের তরফে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়ক আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি দাবি করেছেন, হ্ত্যার ঘটনার পরে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অন্যদিকে তদন্ত প্রক্রিয়াকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, রাজ্য প্রশাসন হত্যাকারীদের মদত দিচ্ছে। পাশাপাশি জেঠমালানি আদালতের কাছে এও দাবি করেন, অভিজিৎ সরকারের ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হোক। কেননা এখনও তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়নি। যদিও আদালত এই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেনি।
হিংসার ঘটনায় তদন্তের দাবি
সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে, ২ মে তৃণমূলের জয়ের পরে রাজ্য জুড়ে হিংসার ঘটনার তদন্তেরও দাবি করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। বিজেপির তরফে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ করা হয়েছে। বিজেপির নেতা-কর্মীদের ওপরে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকরে। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই অভিযোগ মানতে চাননি। পাল্টা তিনি বলেছেন, জায়গায় জায়গায় বিজেপি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ওপরে হামলা করছে। এদিকে রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই সন্ত্রাস কবলিত কোচবিহার এবং নন্দীগ্রাম পরিদর্শন করেছেন।
বদল হতে পারে রাজ্য বিজেপির 'হেডস্যার', চাই মহিলা মুখ, নাম নিয়ে শুরু জল্পনা