ভারতীয় গণতন্ত্রে 'ফেসবুক'-এর হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন, বললেন সোনিয়া গান্ধী
ভারতীয় গণতন্ত্রে 'ফেসবুক'-এর হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন, বললেন সোনিয়া গান্ধী
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া দেশের বড় অংশ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। নির্বাচন হোক কি আন্দোলন এমনকি কোনও জিনিসের জনপ্রিয়তা তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা আজকেরদিনে অপরিহার্য। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে বড় জায়ান্টটির নাম হল 'ফেসবুক'! বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এর দ্বারা প্রভাবিত৷ ক্রমশ মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে এই ফেসবুক৷ এমনকি ভারতের মতো দেশে নির্বাচনেও ক্রমশ বড় ভূমিকা রাখছে 'ফেসবুক'! আর ঠিক এ জায়গাতপই আপত্তি কংগ্রেস সভা নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর!
বুধবার কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের, 'পদ্ধতিগত হস্তক্ষেপ' বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। লোকসভায় জিরো আওয়ারে বক্তব্য রাখার সময় সোনিয়া, আল জাজিরা এবং দ্য রিপোর্টার্স কালেক্টিভে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে দাবি করেছেন যে ফেসবুক অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় নির্বাচনী বিজ্ঞাপনের জন্য বিজেপিকে সস্তা চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে।
এদিন তিনি বলেন, 'আমি সরকারকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচনী রাজনীতিতে ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের পদ্ধতিগত হস্তক্ষেপ এবং প্রভাব বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। এটা দলীয় রাজনীতির বাইরের বিষয়।' তিনি আরও বলেন, 'যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন আমাদের গণতন্ত্র এবং সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে।'
খেলা শেষ হয়নি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সহজে জিতবে না বিজেপি, বললেন মমতা
প্রসঙ্গত কংগ্রেস বা বিজেপি বিরোধী দলগুলির এই অভিযোগ নতুন নয়৷ আজ অনেক বছর ধরেই বিজেপি বিরোধীদের বড় অংশ দাবি করে আসছে যে ফেসবুকের মাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করছে বিজেপি৷ যা তাদের নির্বাচনে জিততেও সাহায্য করছে৷ এমনকি ফেসবুকের 'পলিশি ভায়োলেশন' নিয়মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে সব দলই৷ বিজেপি বিরোধীদের প্রায় প্রতিদিনের অভিযোগ যে সরকার বিরোধী কিছু লিখলেই ফেসবুকে ব্যান করা হয়,
পোস্টও ডিলিট করা হয়৷ অন্যদিকে বিজেপি সমর্থকদের বড় অংশের দাবি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বরাবর বিজেপি বিরোধী৷ এবং সে কারণেই বারাবর তাদের পোস্ট ডিলিট করে প্রোফাইল ব্যান করা হয়৷ যদিও এ নিয়ে ফেসবুক কতৃপক্ষকে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি৷ তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বড় অংশের মতে সোনিয়ার আশঙ্কা মোটেও উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়।