
ঝোড়ো ইনিংস শেষে এবার ক্লান্তিতে শেয়ার মার্কেট, কেন একধাক্কায় ১১০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স?
গত কয়েক সপ্তাহে এক লাফে প্রায় ৬০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল সেনসেক্স। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছিলেন অর্থনীতিবিদেরা। আশঙ্কা সত্যি করে এবার পতনের পালা। একধাক্কায় বৃহঃষ্পতিবার ১১০০ পয়েন্ট পড়ে গেল সেনসেক্স। এদিন শেষবেলাতেই এই বড়সড় ধস নামতে দেখা গেল শেয়ার বাজারে। আর তাতেই বাড়ছে চিন্তা।

কোন কোন ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি পতন
এদিকে শেয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্ব বাজারের পতন এবং প্রফিট বুকিং-এর কারণেই এদিন সেনসেক্স এবং নিফটিতে এই পতন দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এদিকে বৃহঃষ্পতিবার সকালে বাজার খোলার সময় থেকেই শেয়ার বাজারে পতনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। অন্যদিকে বুধবার বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স দাঁড়িয়ে ছিল ৬১,১৪৩.৩৩ পয়েন্টে। যা ছিল গত কয়েকদিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

বেলা গড়াতেই বাড়ে চিন্তা
কিন্তু বৃহস্পতিবারের শুরু থেকেই লম্ফ-ঝম্ফ শেষে ধীরে ধীরে ক্লান্তি গ্রাস করে শেয়ার দরে। আর তাতেই সেনসেক্স খোলে ৬১,০৮১ পয়েন্টে। এটাই এদিনের সর্বোচ্চ দর। একসময় বাজার নেমে যায় ৫৯,৯৭৭.৫৮ পয়েন্টেও। অন্যদিকে নিফটির ক্ষেত্রে গতকাল যা বন্ধ হয়েছিলো ১৮,২১০.৯৫ পয়েন্টে এদিন তা খোলে ১৮,১৮৭.৬৫ পয়েন্টে। দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন স্তর যথাক্রমে ১৮,১৯০.৭০ এবং ১৭,৭৯৯.৪৫ পয়েন্ট।

পতন নিফটিতেও
সহজ কথায় নিফটিতেও বড়সড় পতন দেখতে পাওয়া যায়। এদিকে বাজার পরিসংখ্যান বলছে, বৃহঃষ্পতিবারে বেলাশেষে নিফটি ৩৫৩.৭০ পয়েন্ট নেমে বন্ধ হয়েছে ১৭,৮৫৭.২৫ পয়েন্টে। রিয়েলিটি, পাওয়ার, অয়েল অ্যান্ড গ্যাস, মেটাল, ব্যাঙ্ক, টেলিকম, এফএমসিজি সহ প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই এদিন শেয়ারের বড়সড় পতন দেখতে পাওয়া যায়। এদিকে এতদিন এই ক্ষেত্রগুলিই সবথেকে বেশি চাঙ্গা ছিল। এদিক এই এই আকস্মিক পতনে ফের কপালে চিন্তার মেঘ জমতে শুরু করেছে লগ্নিকারীদের।

কী কারণে এই পতন
এদিকে করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি এখনও বেশ খানিকটা ধীর। এমনকী মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণেই সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাতেই হু হু করে পারাপতন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে শেয়ার মার্কেটে। এদিন নেসলে ইন্ডিয়া, বাজাজ ফিন সার্ভিস, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, ব্রিটানিয়া, এইচডিএফসি, হিরো মোটর কর্প সহ একাধিক তাবড় তাবড় সংস্থার শেযার অনেকটাই নীচে নেমে যায়।