রাজ্যগুলির কাছে এখনও ১.৬৪ কোটি ভ্যাকসিন রয়েছে, জানাল কেন্দ্র
রাজ্যগুলির কাছে এখনও ১.৬৪ কোটি ভ্যাকসিন রয়েছে, জানাল কেন্দ্র
ভ্যাকসিনের উৎপাদন ও বিতরণ নিয়ে মোদী সরকারকে কোণঠাসা করতে চাইছে বিরোধীরা। বুধবার তাদের জবাব দিয়েই দেশে মজুত ভ্যাকসিনের তথ্য প্রকাশ করল কেন্দ্র। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে এখনও মোট ১.৬৪ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ মজুত রয়েছে।
দেশে ভ্যাকসিনেশন শুরু হবার প্রথম থেকেই ফ্রিতে সরাসরি এবং রাজ্যগুলির চাহিদা অনুসারে ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এখন পর্যন্ত মোট ২৩ কোটি ভ্যাকসিন রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলোতে পাঠানো হয়েছে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়৷ এই মোট ভ্যাকসিনের মধ্যে থেকে প্রায় ২১ কোটি ৭১ লক্ষ ৪৪ হাজার ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়েছে৷ তবে রাজ্যগুলিকে দেওয়া এই মোট সংখ্যার কিছু ভ্যাকসিন নষ্টও হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সবশেষ হিসেবে দেখা গিয়েছে দেশের রাজ্য ও কেন্দ্রাশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রায় ১ কোটি ৬৪ লক্ষ ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে৷
মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল জুলাইয়ের শেষ কিংবা অগাস্টের প্রথমেই প্রতিদিন ১ কোটি ভ্যাকসিনেশনের পথে হাঁটবে ভারত। সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যের সময়ে কোনও পরিবর্তন আনার কথা বলেনি কেন্দ্র। পাশাপাশি এখনই দু'ধরণের আলাদা ভ্যাকসিন মিশিয়ে মানব দেহে প্রয়োগের কথা ভাবছে না কেন্দ্র, নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।
'সেকেন্ড ওয়েভে' দেশে করোনা সংক্রমণ ৪ লক্ষ পার করেছিল৷ এই মাত্রাছাড়া কোভিড সংক্রমণ ভারতে ভ্যাকসিনের চাহিদা বহুগুণ বাড়িয়েছে৷ এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনার ভ্যাকসিনের আকাল দেখা গিয়েছে৷ দেশের বড় অংশের মানুষ চেয়েও ভ্যাকসিন পাননি৷ এ নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধীরা৷ নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার রাজ্যের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনে না থাকার অভিযোগ এনেছেন। এ নিয়ে মোদী সরকারকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়েননি তৃণমূল নেত্রী৷
কেন্দ্রের কাছে টিকা কেনার সব তথ্য, কবে শেষ হবে টিকাকরণ জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট
ইতিমধ্যেই একাধিকবার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মাঝের সময় বাড়িয়েছে আইসিএমআর৷ এ নিয়েও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা৷ সময় মতো যথেস্ট ভ্যাকসিন উৎপান না করা এবং বিদেশে ভ্যাকসিন পাঠানোর কারণেই দেশের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই, তাই দুটি ডোজোর মাঝের সময় বাড়াতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।