সিএএ লাগু নিয়ে দলের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে মন্তব্য হরিয়ানার কংগ্রেস নেতার
কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্য়গুলি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করার পথে। তবে কংগ্রেস নেতা তথা হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ হুডা সোমবার এই বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়ে দলের মতবাদ থেকে সরা এসে বক্তব্য রাখেন। আজ তিনি বলেন, সংসদে পাশ হওয়া সিএএ লাগু করার বিষয়টি অস্বীকার করতে পারে না কোনও রাজ্য।
ভূপিন্দর সিংয়ের বক্তব্য
ভূপিন্দর সিংহ হুডা বলেন, 'সংসদে কোনও আইন পাস হওয়ার পরে, আমার মনে হয় না যে সাংবিধানিক ভাবে কোনও রাজ্যই বলতে পারে না যে তারা এটিকে লাগু করবে না। তারা বলতে পারে যে আইনীভাবে বিষয়টির পরীক্ষা করতে হবে।'
সিএএ নিয়ে মুখ খোলেন কপিল সিব্বলও
এর আগে শনিবার কেরলে সাহিত্য উৎসবে যোগ দিয়ে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেছিলেন, 'কোনও রাজ্য বলতে পারে না যে সংসদে পাস হওয়া আইন মেনে চলব না। কোনও রাজ্য সরকারের পক্ষে এটা বলা কঠিন যে আমরা সংসদে পাস হওয়া আইনকে মেনে চলব না। রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বার্তা দিচ্ছে তারা নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনআরপি নিয়ে অখুশি। এনআরসি তৈরি হয় এনআরপির উপরে ভিত্তি করে। এবং সেটা কোনও স্থানীয় রেজিস্ট্রার বাস্তবায়িত করবেন।'
রাজনৈতিক ভাবে একত্রিত হওয়ার ডাক
কপিল আরও বলেন, 'বলা হচ্ছে আমরা রাজ্য স্তরের আধিকারিকদের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে দেব না। আমি জানি না এটা সম্ভব কিনা। এটা একটা ধূসর এলাকা। সাংবিধানিক ভাবে কোনও সরকারের পক্ষে এটা বলা কঠিন যে, আমি সংসদে পাস হওয়া আইন মেনে চলব না। আমি মনে করি আমাদের সকলের উচিত একসঙ্গে দাঁড়ানো। রাজনৈতিক ভাবে একত্রিত হয়ে এই লড়াই করা উচিত আমাদের।'
আহমেদ প্যাটেলের বক্তব্য
এদিকে কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল বলেন, 'পাঞ্জাবের পরে, আমরা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যেগুলিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব আনার কথা ভাবছি। এই আইনের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা হবে।'