রবিবার দিল্লি হাইকোর্টে নির্ভয়া–খুনিদের ফাঁসি নিয়ে বিশেষ শুনানি
শনিবার নির্ভয়া গণধর্ষণ–খুনের মামলার চার সাজাপ্রাপ্তের ফাঁসি হওয়ার কথা থাকলেও দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে তা স্থগিত হয়েছে। রবিবার দিল্লি আদালতে সেই আবেদনের বিশেষ শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট শনিবারই তিহার জেল কর্তৃপক্ষ ও সাজাপ্রাপ্তদের এ বিষয়ে নোটিস জারি করেছে। শুক্রবার নির্ভয়া কাণ্ডের যে চারজনের ফাঁসি স্থগিত করা হয় তারা হল মুকেশ সিং, অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা এবং পবন গুপ্তা। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তাদের ফাঁসি হবে না।
শনিবার আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে খোদ তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। এবার দোষীদের ফাঁসি চেয়ে হাইকোর্টে গেল তিহার। দিল্লি আদালতের মুখ্য বিচারপতি ডিএন প্যাটেলের সামনে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানান যে এই মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা আইনি পদ্ধতিকে জয়রাইড করে ঘুরছে। মৃত্যুদণ্ড দেরিতে করার জন্য নানা টালবাহানা করছে তারা। শনিবার ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ছ’টার সময় এই চারজনের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দিল্লি আদালতের পক্ষ থেকে ফাঁসির ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। আসামিদের আইনজীবী এপি সিং জানান যে তাদের আইনী প্রতিকারগুলি এখনও শেষ হয়ে যায়নি, ফাঁসির তারিখটি অনিশ্চিত রয়েছে।
ফাঁসির একদিন আগে, শুক্রবারই ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধী। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল নির্ভয়ার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের অন্যতম পবন গুপ্তা। নির্ভয়ার ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়ে গণধর্ষণের সময় সে নাবালক ছিল বলে দাবি করেছে পবন। এর আগে, রাষ্ট্রপতির কাছে নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী বিনয় শর্মা প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়ে পিটিশন দেয়। সেই আর্জিও খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি। খারিজ করে দেন দোষী অক্ষয় কুমারের আর্জিও। দিল্লি কোর্টে নির্দেশে দোষীদের ফাঁসি স্থগিত হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্ভয়ার মা আশা দেবী। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি বলেন, 'আসামিদের উকিল এপি সিং বলেছেন, এই ফাঁসি কখনই হবে না।’