হিংসা রুখতে ব্যর্থ দিল্লি পুলিশ! সংঘর্ষ ঠেকাতে নিয়োগ বিশেষ পুলিশ কমিশনার
দিল্লির উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ পুলিশ কমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্সের অফিসার এস এন শ্রীবাস্তবকে এই পদে নিয়োগ করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম হয়েছে দিল্লি পুলিশ। এখনও পর্যন্ত হিংসার জেরে প্রাণ হারিয়েছে ১৭ জন। জখম অন্তত ২০০ যাদের মধ্যে ৪৮ জন পুলিশ কর্মী রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
দিল্লিতে পরবর্তী পুলিশ কমিশনার হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন শ্রীবাস্তব
এদিকে ১৯৮৫ সালের আইপিএস ব্যাচের অফিসার এস এন শ্রীবাস্তবকে দিল্লিতে বিশেষ কমিশনার পদে নিয়োগ করে দিল্লি পরিস্থিতি বাগে আনতে চাইছে কেন্দ্র। এর আগে শ্রীবাস্তব সিআরপিএফ-এর বিশেষ ডিরেক্টর পদ সামলাচ্ছিলেন। মনে করা হচ্ছে দিল্লি পুলিশের বর্তমান কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েকের মেয়াদ শেষ হলে শ্রীবাস্তবকেই পাকাপাকি ভাবে দিল্লি পুলিশের দায়িত্ব সপে দেওয়া হতে পারে। এর আগে মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত সহ বেশ কয়েকটি হাই প্রোফাইল কেস সামলেছেন শ্রীবাস্তব। সামলেছেন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদও।
দিল্লির পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে দফায় দফায় বৈঠক অমিত শাহর
দিল্লির পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে রবিবার থেকে এখনও পর্যন্ত তিন বার বৈঠক ডেকেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দিল্লির হিংসায় এক হেড কনস্টেবল এবং ১২ জন সাধারণ নাগরিক মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ছিল ১৩। বুধবার সকালে তা দাঁড়িয়েছে ১৭-তে। এদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল। এখনও ৭০ জনের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দিল্লিতে নামানো হয় ব়্যাফ ও সিআরপিএফ
শনিবার রাতে শুরু হওয়া সংঘর্ষের জের মঙ্গলবার পর্যন্ত আছড়ে পরলে দিল্লিতে নামানো হয় ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ও সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স। তবে তাতে শান্ত হয়নি দিল্লির পরিস্থিতি। সশস্ত্র জনতা লাঠি হাতে ও পাথর ছুড়ে তাদের বারবার পিছু হটতে বাধ্য করে। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। এই অবস্থায় দিল্লির এই এলাকাগুলিতে বহু মানুষ বাড়ির ভিতরে তালা ঝুলিয়ে গৃহবন্দি অবস্থায় কাটাতে বাধ্য হয়েছিল।
দিল্লিতে শুট এট সাইটের নির্দেশ কেন্দ্রের
মূলত, দিল্লির মৌজপুর, বাবরপুর, কবিরনগর, পশ্চিম জ্যোতি নগর, গোকুলপুরীর গলিতে এই হিংসার ছবি নজরে পড়েছে। লোহার রড, লাঠি, ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে ভাঙা ইটকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে বিক্ষোভকারীরা। এদিকে দুষ্কৃতী দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। ক্ষিপ্ত জনতাকে ভয় দেখাতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে মনে করছে। আদতে এটি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মনে।