বিধায়কদের ওপর পুলিশি নজরদারি হাতেনাতে ধরল এনসিপি! রাতেই বিধায়কদের সরানো হল অন্য হোটেলে
মুম্বইয়ের রেনেসাঁ হোটেলের মধ্যেই হুলুস্থূল। সন্ধেয় সেখানে সাদা পোশাকে থাকা এক পুলিশকর্মীকে ধরে ফেলেন এনসিপি নেতারা।
মুম্বইয়ের রেনেসাঁ হোটেলের মধ্যেই হুলুস্থূল। সন্ধেয় সেখানে সাদা পোশাকে থাকা এক পুলিশকর্মীকে ধরে ফেলেন এনসিপি নেতারা। এরপরেই এনসিপির তরফে অভিযোগ করা হয়, বিজেপির কাছে তথ্য পাচারের উদ্দেশেই সেখানে সাদা পোশাকে পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও রাতের দিকে শিবসেনা ও এনসিপি বিধায়কদের হোটেল বদল করা হয়।
নিরাপত্তার কারণে এনসিপি বিধায়কদের হোটেল রেনেসাঁ থেকে সরিয়ে নিয়ে হায়াতে রাখা হয়। অন্যদিকে শিবসেনা বিধায়কদের লেমন ট্রি হোটেল থেকে সরিয়ে ললিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এনসিপি বিধায়ক জিতেন্দ্র আওহাদ বলেছেন, কোনও নির্দেশ না থাকলে পুলিশ এই ধরনের কাজ করতে পারে না।
এর আগে অবশ্য কংগ্রেস নেতা অশোক চবন অভিযোগ করেন, বিজেপি তাদের বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। রবিবার তিনি বলেন, যে হোটেলে বিধায়কদের রাখা হয়েছে, সেখানেই ঘর ভাড়া নিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এইভাবেই বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে।
প্রথমে এক বিজেপি নেতার নাম নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। যখন জানা যায় কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বর্ষীয়ান নেতা রাধাকৃষ্ণ ভিকে পাতিলকে। তিনি বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়াও সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপির তফর থেকে যাঁদের এব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন, শিবসেনা থেকে কংগ্রেস আবার সেখান থেকে বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য নারায়ণ রানে, এনসিপি থেকে বিজেপি বিধায়ক হওয়া গণেশ নায়েক এবং ভাবন রাও পাচপুটে।
প্রশ্নের উত্তরে রাধাকৃষ্ণ ভিকে পাতিল জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে সব বিধায়কের সম্পর্ক খুবই ভাল।