জামিয়াতে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ভাষণ, শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন দিল্লি পুলিশের
সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছিল রাষ্ট্রদোহিতার দায়ে ধৃত জেএনইউ ছাত্র শারজিল ইমাম। দিল্লি পুলিশের তদন্তে এর আগেই উঠে এসেছিল এই তথ্য। শারজিলের বিরুদ্ধে দেশের একাধিক রাজ্যএ দায়ের হয়েছিল এফআইআর। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় চার্জশিট গঠন হল শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে।
সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালায় শারজিল
পুলিশ জানাচ্ছে যে জামিয়া কাণ্ডের আগের দিনই সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাতে মসজিদে মসজিদে প্যামফ্লেট বিলি করছিল শারজিল। এরপরই বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল জেএনইউ ছাত্র শারজিল ইমামকে।
বাবরি মসজিদ ও কাশ্মীর নিয়ে প্যামফ্লেট বিলি
জানা গিয়েছে, যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বাবরি মসজিদ ও কাশ্মীর নিয়েও প্যামফ্লেট বিলি করে শারজিল। এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজর কাড়তে দিল্লি জুড়ে ব্যাপক অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল। অসমে মুসলমানদের আটক করে শিবিরে রাখা হয়েছে এবং তাদের হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে ইমাম লোকদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টাও করছিলেন।
কী বলেছিল শারজিল?
শারজিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদেরকে বলেছিলেন যে সরকার দেশ থেকে মুসলিমদের বিতাড়িত করার জন্যে চিহ্নিত করছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংস, এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়গুলিতুলে ধরেও তাদের উস্কাচ্ছিল। ১৪ ডিসেম্বর এই সব প্যামফ্লেট বিলি করেছিল শারজিল। আর তার পরের দিনই জামিয়াতে অশান্তির ঘটনা ঘটে।
প্যামফ্লেটে আন্দোলনের ডাক ছিল
শারজিলের বিলি করা প্যামফ্লেটে লেখা ছিল, 'ভারতজুড়ে মুসলমানদের অবশ্যই এক কণ্ঠে এনআরসি এবং সিএবি প্রত্যাখ্যান করতে হবে। কাশ্মীর, বাবরি এবং এখন সিএবি, ভারতজুড়ে মুসলমানদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে। জামিয়ার শিক্ষার্থীরা জামিয়া জামে মসজিদ থেকে একটি প্রতিবাদ ডাক দিয়েছে। আমরা জেএনইউর মুসলিম শিক্ষার্থীরা, আপনাদেরকে এই প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার ও চাকা জ্যামের পরিকল্পনা করার জন্য অনুরোধ করছি।'
ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন জামিয়া ছাত্ররা
এই প্যামফ্লেট বিলির পরদিন ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ে দিল্লি পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠি চার্জ করে। তার আগে সরাই জুলেইনা ও মথুরা রোডে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
শারজিলের গ্রেফতারি
পরে বিহারের জেহানাবাদ থেকে গ্রেফতার করার পর ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়। শারজিলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ, ১৫৩ এ ও ৫০৫ ধারায় প্ররোচনামূলক বক্তব্য ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ ছড়ানোর অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা রুজু হয়।