জামিয়ার হিংসার ঘটনায় বেকসুর খালাস শারজিল ইমাম! স্বস্তি আসিফ ইকবাল তানহার
সিএএ আইন হওয়ার পরেই দেশজুড়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বলেছে। বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে সেই বিক্ষোভ-আন্দোলন। আর এই অবস্থায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় শারজিলের।
২০১৯ সালের জামিয়ার হিংসার ঘটনায় নয়া মোড়! শারজিল ইমাম ও আসিফ ইকবাল তানহাকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিল্লি সাকেত আদালতের। তবে এই মামলাতে স্বস্তি পেলেও এখনই জেল থেকে ছাড়া হচ্ছে না জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
বিশেষ করে দিল্লি হিংসায় উসকানিমূলক একের পর এক মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে। ফলে এখনই জেল থেকে ছাড়া পারছেন না বলেই জানা যাচ্ছে। তবে আজ শনিবার আদালতের নির্দেশে বড়সড় স্বস্তি পেলেন শারজিল ইমাম ও আসিফ ইকবাল তানহা।
বলে রাখা প্রয়োজন, এদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং অসংবিধানিকভাবে জমায়েতের কারণে 143, 147, 148, 186, 353, 332, 333, 308, 427, 435, 323,341, 120 বি এবং ৩৪ ধারায় একাধিক মামলা রয়েছে। যার মধ্যে একাধিক জামিন অযোগ্য মামলা রয়েছে বলেও খবর। অন্যদিকে শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ-সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
Delhi's Saket court discharges Sharjeel Imam in Jamia Violence case registered in 2019.
— ANI (@ANI) February 4, 2023
Violence erupted after a clash between people protesting against Citizenship Amendment Act and police. Sharjeel was granted bail in 2021.
(File Pic) pic.twitter.com/FBIM1HIOD6
সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগে এই মামলা দায়ের রয়েছে শারজিলের বিরদ্ধে। বলে রাখা প্রয়োজন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দেশের একাধিক প্রান্তে সংঘাতের ছবি দেখা যায়। আর এর মধ্যে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে বক্তব্য রাখেন শারজিল।
আর সেই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা যায় জেএনইএউয়ের এই গবেষককে। আর তা ঘিরেই শুরু হয় যাবতীয় বিতর্ক। শারজিলের গ্রেফতারের দাবি ওঠে সর্বত্র। একের পর এক রাজ্যে মামলা দায়ের হয়। এমনকি দেশদ্রোহের মামলাও দায়ের হয়।
আর সেই সমস্ত মামলা এখনও বিচারাধীন। ফলে একটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস হলেও শারজিলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে।
অন্যদিকে আলিগড় মামলায় ইতিমধ্যে ক্লিনচিট পেয়েছেন শারজিল ইমাম। আর সেই ক্লিনচিট দিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে, শারজিল ইমামের বক্তব্যে কোনও উস্কানি ছিল না। এমঙ্কিও হিংসাতে উস্কানি দেওয়ার কোনও ঘটনাই ঘটেনি বলে পর্যবেক্ষণে জানায় সে রাজ্যের এলাহাবাদ।