মহারাষ্ট্রের মহা আগাড়িতে ফাটল! পাওয়ার যে সমীকরণে সামাল দেওয়ার বার্তা দিলেন
তিনমাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের মহা আগাড়িতে ফাটল ধরে গেল। মঙ্গলবার শিবসেনা প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করার দরকার নেই।
তিনমাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের মহা আগাড়িতে ফাটল ধরে গেল। মঙ্গলবার শিবসেনা প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করার দরকার নেই। এ প্রসঙ্গেই এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন বলে জানান।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সহযোগী এনসিপি ও কংগ্রেস। কিন্তু এবার প্রকাশ্যেই মহারাষ্ট্রের মিত্রদের থেকে পৃথক কথা বললেন শিবসেনা প্রধান। ফলে তিন দলের মহাজোটের মধ্যে মতপার্থক্য প্রকাশ্যে চলে এল।
শারদ পাওয়ার বলেন, তাঁদের জোট বজায় রয়েছে, বজায় থাকবে। উদ্ধব ঠাকরে যা কিছু বলেছেন এটা তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর নিজস্ব মতামত রয়েছে। হ্যাঁ, মহারাষ্ট্রে আমরা একটি জোট সরকারে রয়েছি। তবে কিছু বিষয়ে দলগুলির মতামত পৃথক হতেই পারে। আমরা তো এক দল নই। আমরা পৃথক দল। এটা আমাদের একলা চলায় কোনও বাধার সৃষ্টি করবে না।
শারদ পাওয়ার বলেন, মহা বিকাশ আগাড়ির তিনটি দল বসে এই বিষয়ে আলোচনা করবে। শিগগিরই আমরা এটি নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছব। আমরা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে এ বিষয়ে বোঝানোর চেষ্টা করব। জোট সরকারে মতপার্থক্য থাকতে পারে। আবার মিটেও যায়, মিটেও যাবে।
তিনি বলেন, ইউপিএ শাসনামলে কেন্দ্রে জোট সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের বা ইউপিএ ২৯টি দল নিয়ে চলেছে। আমাদের সঙ্গে বামফ্রন্টের দলগুলিও ছিল, যাঁদের সবসময়ই ভিন্ন মতামত ছিল। তবে আমরা একসঙ্গে থেকেছি, সফল পরিচালনা করেছি সরকারের।