
কংগ্রেস ছেড়ে তৃতীয় মোর্চায় যেতে পারেন, ইঙ্গিত শরদ পাওয়ারের

এখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শরদ পাওয়ার বলেছেন, "এখন তৃতীয় মোর্চা সক্রিয় নয়। এ ধরনের জোট ভোটের পর তৈরি হয় এবং উপযুক্ত বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায়।" তাঁর ব্যাখ্যা, ২৪ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের ভোটপর্ব মিটছে। তার পর তৃতীয় মোর্চার বিষয়টি নিয়ে ভাববে এনসিপি। বিভিন্ন রাজনীতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। এনসিপি কংগ্রেস ছেড়ে তৃতীয় মোর্চায় যোগ দেবে কি না, তা যথা সময়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১৬ মে-র আগে এনসিপি এ বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পক্ষপাতী বলে জানান তিনি।
কেন নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি 'স্বপ্ন'-ই থেকে যাবে, তা নিয়ে বোঝাতে কসুর করেননি শরদ পাওয়ার। তিনি বলেছেন, "আঞ্চলিক শক্তিগুলোর অনেকেই নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করার ব্যাপারে আগ্রহী নন। যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবেন বলে মনে হয় না। এটা সত্যি যে, এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনডিএ-তে ছিলেন। আবার এটাও সত্যি যে, তিনি ইউপিএ-তেও ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ভালো কাজ করছেন। এখন যদি তিনি বিজেপি-র সঙ্গে যান, তা হলে সমাজের একটা বড় অংশ তাঁর ওপর খাপ্পা হয়ে যেতে পারে। বড় অংশ মানে আমি বোঝাতে চাইছি, পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ২০ শতাংশ ভোট। এমন পরিস্থিতিতে তিনি কখনওই এনডিএ-কে সমর্থনের কথা ভাববেন না।"
এনসিপি সুপ্রিমোর আরও ব্যাখ্যা, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো কংগ্রেসকে সমর্থন করতে চাইবেন না। আবার এটাও ঠিক তিনি বিজেপি-র থেকে দূরে থাকবেন। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি দেখতে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন সরকারকেই তাঁর সমর্থন করা উচিত।" বিজেডি-র নবীন পট্টনায়ক, সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং যাদবও একই পথে হাঁটবেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
অন্ধ্রের রাজনীতি নিয়েও ব্যাখ্যা দেন শরদ পাওয়ার। তিনি বলেন, "তেলুগু দেশমের গ্রহণযোগ্যতা ছিল অন্ধ্রপ্রদেশে। কিন্তু আলাদা তেলেঙ্গানা তৈরিতে সায় দেওয়ায় সেখানে ভরাডুবি হবে তাদের। এর ফায়দা তুলবে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। আর এরা ভোটের পর কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করতে মনস্থির করতে পারে। এখন হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে মনে হয় না, বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গড়তে সক্ষম হবে।"