মুদ্রালোন নিয়ে ব্যবসা বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা, সার্ভে রিপোর্টে প্রকাশ্যে তথ্য
মোদী সরকার মুদ্রা যোজনা শুরু করেছেন নতুন উদ্যোগ তৈরি করার জন্য। নতুন যাঁরা ব্যবসা শুরু করছেন তাঁদের সাহায্য করার জন্যই এই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল।
মোদী সরকার মুদ্রা যোজনা শুরু করেছেন নতুন উদ্যোগ তৈরি করার জন্য। নতুন যাঁরা ব্যবসা শুরু করছেন তাঁদের সাহায্য করার জন্যই এই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে ঘটছে অন্য কিছু্। যাঁরা মুদ্রালোন নিচ্ছেন তাঁদের পাঁচ জনের মধ্যে মাত্র একজন হয়তো নতুন ব্যবসা শুরু করছেন। আর বাকি চারজন পুরনো ব্যবসা বাড়াতে সেই অর্থের ব্যবহার করছে। শ্রম দফতরের করা সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
খসরা রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে তথ্য
শ্রম দফতরের আওতায় এই প্রকল্প শুরু করেছিল মোদী সরকার। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ১.১২ কোটি টাকার কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়। প্রথম ৩৩ মাস ময লেগেছে প্রকল্পটি সম্পর্কে সাধারণ নাগরিকদের সচেতন করতে। ৫১.০৬ লাখ শিল্পদ্যোগীরা তাঁদের পরিবারের লোকেদেরও কর্মী হিসেবে দেখিয়ে লোন নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মোট কত টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে
মোট ৫. ৭১ লাখ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের তিনটি স্তরে। শিশু, কিশোর এবং তরুণ এই তিনটি ভাগ রয়েছে এই প্রকল্পে। শিশু পর্যায়ে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। কিশোর পর্যায়ে ৫০,০০০ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। আর তরুণ পর্যায়ে ৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেণ নব্য উদ্যোগীরা। এই শিশু ঋণের আওতায় ৬৬ শতাংশ কর্মসংস্থান হয়েছে। কিশোর ঋণের আওতায় কর্ম সংস্থান হয়েছে ১৮.৮৫ শতাংশ। আর তরুণ ঋণের আওতায় ১৫.৫১ শতাংশ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে।
নতুন উদ্যোগীদের সংখ্যা নগন্য
কিন্তু এই ঋণ নিয়ে যাঁরা কর্ম সংস্থান তৈরি করেছেন তাঁরা অধিকাংশই পুরনো ব্যবসায়ী। পাঁচ জন ঋণ প্রাপকের মধ্যে মাত্র একজনই নতুন করে উদ্যোগ তৈরি করেছেন। বাকিরা সকলেই পুরনো ব্যবসায়ী। নিজেরা নিজেদের ব্যবসা বাড়িয়েছেন এই ঋণ নিয়ে। যার ফলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই প্রকল্পটি চালু করেছিল মোদী সরকার তা পূরণ হয়নি। এর ফলে কর্মসংস্থানে ঘাটতি রয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ায় পুতিন-মোদী সাক্ষাৎ, আলোচনায় আসতে পারে কাশ্মীর প্রসঙ্গ]
ন্যাশনাল সার্ভে অফিসের রিপোর্ট মোদী সরকারের আমলে যে কর্মসংস্থানে বিপুল পরিমানে ঘাটতি দেখানো হয়েছিল তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শ্রম দফতরের এই রিপোর্টটি পেশ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই রিপোর্টেই উঠে এসেছে ২০১৭-১৮ সালে দেশে কর্মসংস্থানে হার রেকর্ড হারে বেড়েছ।
[আরও পড়ুন: 'অর্থনীতি ঠিক করুন আগে, তারপর কাশ্মীর নিয়ে কথা বলবেন', ইমরানকে বার্তা খোদ পাকিস্তানিরই ]