Russia-Ukraine Crisis: পণবন্দি তত্ত্বে ভিন্ন মত! যুদ্ধে যোগ দিতে বন্ধুকধারীদের চাপ, দাবি কলকাতার ছাত্রের
ইউক্রেনে (Ukraine) ছাত্রদের পণবন্দি করার অভিযোগ নিয়ে ভারত ও রাশিয়ার দ্বিমতের মধ্যেই সীমান্তে ভারতীয়দের যুদ্ধে (war) যোগ দিতে চাপ দিয়েছে বন্দুকধারীরা (Gunmen)। এমনটাই অভিযোগ করলেন সেখান থেকে ফিরে আসা কলকাতার (kolkata)
ইউক্রেনে (Ukraine) ছাত্রদের পণবন্দি করার অভিযোগ নিয়ে ভারত ও রাশিয়ার দ্বিমতের মধ্যেই সীমান্তে ভারতীয়দের যুদ্ধে (war) যোগ দিতে চাপ দিয়েছে বন্দুকধারীরা (Gunmen)। এমনটাই অভিযোগ করলেন সেখান থেকে ফিরে আসা কলকাতার (kolkata) এক ছাত্র (Student)। বর্তমানে কলকাতার ওই ছাত্র দিল্লির বঙ্গভবনে রয়েছে। অপেক্ষায় রয়েছে কলকাতায় ফেরার।
রাশিয়া-ভারত ভিন্ন মত
বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার নিয়ে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেই সময় পুতিন রাশিয়ার সেনার সাহায্য ভারতীয়দের উদ্ধারের কথা বলেছিলেন। বুধবার থেকেই রাশিয়া দাবি করে আসছিল ইউক্রেনের সেনা ভারতীয়দের পনবন্দি করছে। যা নিয়ে উদ্বেগ ছাড়ায় দেশে। তবে বিদেশমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে ইউক্রেনের কোনও ভারতীয়কে পণবন্দি করা হয়নি। এই প্রথমবার ইউক্রেনের সঙ্গে সংকট নিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রকাশ্যে মতের ফারাক দেখা গেল রাশিয়ার।
|
ভারতীয়দের ওপরে হামলা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল
দিন কয়েক আগে পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সীমান্তে ভারতীয় ছাত্রদের সীমান্ত পেরোতে না দিয়ে মারধর করার ভিডিও সামনে এসেছিল যা নিয়ে সরব হয়েছিল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সেখানে ছাত্রীদের চুলের মুঠে ধরে টানার পাশাপাশি রড দিয়ে পেটানোর ছবিও সামনে এসেছিল। ভারতীয়গের লাথি মারতেও দেখা যায়। অভিযোগটা সেই সময় উঠেছিল ইউক্রেনের পুলিশ এবং সেনার বিরুদ্ধে। সেই সময় ভারতীয় ছাত্রদের প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন ভারত সরকার রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছে না।
সীমান্তে বর্ণবিদ্বেষ, ইউক্রেনীয়দের প্রাধান্য
দিন কয়েক ধরেই ইউক্রেন সীমান্তে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে। সীমান্ত পেরোতে ইউক্রেনীয়দের প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগও উঠছিল। এবার সেই অভিযোগ করলেন বারাসতের বাড়িতে ফেরত আসা মেডিক্যাল ছাত্র তিয়াসা বিশ্বাস। সে ইভান ফ্রাঙ্কো ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ লভিভের ছাত্র। তবে ইউক্রেনে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হলেও, রোমানিয়া সীমান্ত পেরনোর পরে তাঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহারের কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। তিয়াসা বিশ্বাস বলেছেন, একটি গাড়ি ভাড়া করে তিনি ও বন্ধুরা রওনা হয়েছিল। কিন্তু সীমান্ত থেকে ১৬ কিমি দূরে তাঁদেরকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর -৫ ডিগ্রি সেলিসিয়াস তাপমাত্রায় তাঁদেরকে হাঁটতে হয়। প্রায় ১১ ঘন্টা হেঁটে সীমান্তে পৌঁছনোর পরে দেখা যায় সেখানে সীমান্ত পেরোতে ইউক্রেনীয়দের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এদিন দার্জিলিং-এ ফের আসা এক ছাত্রীও তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছে। সে বলেছে -৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাতে জঙ্গলে কাটাতে হয়েছিল।
বন্দুকধারীদের চাপ
কলকাতা এক ছাত্র হামজা কবীর তাঁর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, উজহোরোড ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে তিনি ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন দুবছর আগে। সেখানকার মানুষরাও ভাল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে ইউক্রেন ছেড়ে হাঙ্গেরি সীমান্তে যাওয়ার সময়ে বিদ্বেষের মুখোমুখি হন তিনি এবং সঙ্গে থাকা অন্যরা। সীমান্তে চেকিংয়ের সময় তাঁরা বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় তাঁদের বলা হয়েছিল খাবার কিনতে পারে, বাথরুমেও যেতে পারেন। কিন্তু মুদ্রা বিনিময়ের সমস্যার কারণে তাঁরা তা করতে পারেননি। ইউক্রেন ছাড়ার একেবারে আগের মুহূর্তে বন্দুকধারীরা তাঁদের দিকে এগিয়ে আসেন। কেন তাঁরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন করা হয়। কেন ভারতীয়রা যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে না সেই প্রশ্নও করা হয়।
'হঠাৎ'ই ওসি বদল! একমাত্র পুরসভায় সিপিএম-এর লাল নিশানই কি কারণ, উঠছে প্রশ্ন