চিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নেপালের শাসকদলেই 'ভাঙন'! কমিউনিস্ট পার্টিতে উঠছে নানা প্রশ্ন
ভারতের অংশ তাদের বলে দেখালে সংসদে বিল পাশ করার পরেই ধাক্কা নেপালের শাসকদলে। নেপালের শাসক নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
ভারতের অংশ তাদের বলে দেখালে সংসদে বিল পাশ করার পরেই ধাক্কা নেপালের শাসকদলে। নেপালের শাসক নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। শীর্ঘস্থানীয় নেতারা এমন একটা সময় চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে একত্রিত হওয়ার পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যখন ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।
মুম্বই ২৬/১১ হামলার তদন্তে মোদী সরকারের সাফল্য! কানাডার ব্যবসায়ীকে শীঘ্রই হাতে পারে ভারত
চিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভিন্ন মত নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিতে
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে ৪ ঘন্টার ভিডিও কনফারেন্স এড়িয়ে গিয়েছেন, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির লবেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাধম নেপাল। তিনিই দলের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান। এছাড়াও যাঁরা বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, জালানাথ খানাল এবং উপপ্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখারেল।
তবে এই সময় নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো চেয়ারম্যান পুষ্পকুমার দাহাল ওরফে প্রচণ্ড এবং অন্য ৩০ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে কাঠমাণ্ডুর অফিসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা ৭০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন রাজধানীর নির্ধারিত স্থানে।
নানা প্রশ্ন দলেই
এর প্রতিনিধি অবশ্য বলেছেন, আলোচনা ছিল সরকার ও দুর্নীতি নিয়ে। অন্যদিকে, এনসিপি আন্তজার্তিক বিভাগের উপপ্রধান বিষ্ণু রিজাল বলেছেন, এত তাড়াতাড়ি এই ধরনের বৈঠক হওয়া নিয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না। দলের এক শীর্ষ প্রতিনিধি ভারত-নেপাল সম্পর্কে নিম্নগামী পরিস্থিতিতে নেপালের সঙ্গে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকের বিরোধিতা করেছেন। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা এই ভিডিও কনফারেন্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
অক্টোবরে জিং পিং-এর নেপাল সফরের পর থেকেই পরিস্থিতির পরিবর্তন
গত অক্টোবরে নেপাল সফর করেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিং। এরপর থেকেই নেপাল ও চিনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।