লাইমাস গোত্রের প্রাণীর অ্যান্টিবডি করোনা রোধে কার্যকর, দাবি গবেষকদের
লাইমাস গোত্রের প্রাণীর অ্যান্টিবডি করোনা রোধে কার্যকর, দাবি গবেষকদের
দক্ষিণ আমেরিকার পরিচিত স্তন্যপায়ী প্রাণী লাইমাস গোত্রীয় প্রাণীদেহে তৈরী অ্যান্টিবডি থেকে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা হতে পারে। করোনা সংক্রমণ রোধে নতুন এক আশার কথা শুনিয়েছেন সুইডেন এবং সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকার একদল বিজ্ঞানী।
কিভাবে কাজ করে ন্যানোবডি
এই সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে নেচার স্ট্রাকচারাল ও মলেকিউলার বায়োলজিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ন্যানোবডি'গুলি নোভেল করোনা ভাইরাস সার্স-কোভ-২-এর সংক্রমণকে রোধ করতে পারে প্রোটিন এসিই২-এর প্রবেশদ্বারকে বন্ধ করে, যেখান দিয়ে এই ভাইরাস ঢুকে কোষকে সংক্রমিত করে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই স্তন্যপায়ী প্রাণীদের অ্যান্টিবডি থেকে তৈরি টিকা করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় নতুন দিশা দেখাতে পারে।
লাইমাস প্রাণীর ন্যানোবডি যে কোনও রোগ নিয়ন্ত্রণে সফল
বিজ্ঞানীরা তাদের একটি গবেষনা পত্রে দেখিয়েছেন, করোনা বধ হতে পারে আলপাকাস লাইমাস গোত্রীয় প্রাণীদেহে তৈরী অ্যান্টিবডি থেকে। অতিক্ষুদ্র এই অ্যান্টিবডি ন্যানোবডিস নামেও পরিচিত। যা মানব দেহে প্রবেশ করালে যে কোনও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম এবং ভাইরাসের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় রক্তের মধ্যে থাকা জীবাণু নষ্ট করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ন্যানোবডির। যদিও বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন যে অনেক অ্যান্টিবডি সার্স-কোভ-২-এর ক্ষেত্রে একই প্রতিক্রিয়া দেয় না।
লাইমাসের শরীরে রয়েছে অতিরিক্ত ভারী অ্যান্টিবডি
সম্প্রতি এক গবেষণায় গবেষকরা দক্ষিণ আমেরিকার লাইমাস গোত্রের স্তন্যপায়ী প্রাণীর অ্যান্টিবডির সক্ষমতা পরীক্ষা করে সার্স-কোভ-২-কে নিরপেক্ষ করেছে। গবেষকরা ব্যাখ্যা করেছিলেন যে মানব অ্যান্টিবডিগুলি, বেশিরভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো দুটি চেইন রয়েছে ভারী এবং হালকা। তবে উট জাতীয় লাইমাস গোত্রের প্রাণীদের একটি অতিরিক্ত একক ভারী চেইন অ্যান্টিবডি বিকল্প রয়েছে, যা ন্যানোবডি নামে পরিচিত। ন্যানোবডিগুলি ছোট, স্থির ও সহজে উৎপাদন করা যায় এবং এই বিকল্প অ্যান্টিবডিগুলি মাঝে মাঝে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কাজ করে। গবেষকদের মতে, এই ছোট অ্যান্টিবডিগুলি বর্তমানে সার্স-কোভ-২-এর বিপরীতে গবেষণা সরঞ্জাম এবং সম্ভাব্য থেরাপিউটিক্স হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে।
ন্যানোবডি থেকে প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরু
শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এদের দেহ থেকে তৈরী অ্যান্টিবডি করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার সংক্রমণ প্রতিরোধে উপযোগী হবে। যার ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ধীরে-ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়া যাবে। ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে জার্মানি সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ন্যানোবডি থেকে কীভাবে প্রতিষেধক আবিষ্কার করা যায় তার উপর গবেষনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
বাংলায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ক্রমশ, পরিসংখ্যানে তিন জেলায় উদ্বেগ