লালকেল্লার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল! দিল্লিতে কৃষক অরাজকতার ছকের পর্দা ফাঁস
দুই দিন আগেই কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লি। দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তরের সামনে আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ে৷ মিছিল আটকাতে গেলে দিল্লির একাধিক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় কৃষকদের। দিল্লি পুলিশের তরফে ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। যাতে দেখা যায় ট্রাক্টর নিয়ে একটি পুলিশ ভ্যানকে বারবার ধাক্কা মারা হচ্ছে। এছাড়াও পুলিশের ভ্যান ভাঙচুর করতেও দেখা যায়।
দিল্লি পুলিশের একাংশের আক্ষেপ
দিল্লি পুলিশের একাংশের আক্ষেপ, সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রথম অবস্থানেই কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলের অনুমোদন দেওয়া উচিত হয়নি। ৫০ হাজার ট্র্যাক্টর নিয়ে কৃষকদের ভিড় সামলানো যে সম্ভব নয় সেটা বোঝা উচিত ছিল প্রশাসনের। এমনই মত বহু বিশেষজ্ঞের। তাঁদের আরও বক্তব্য, প্রশাসনের বোঝা উচিত ছিল যে ট্র্যাক্টরকে অস্ত্র হিসেবেই ব্যবহার করবেন কৃষকরা। এবং এই অরাজকতা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। এদিকে দিল্লি পুলিশের কর্মীদের উপর গুলি না চালানোর নির্দেশ ছিল।
ট্রাক্টর উল্টে মৃত্যু হয় এক কৃষকের
২৬ জানুয়ারির ঘটনায় ২২টি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। জখম হয়েছেন ৩০০-রও বেশি পুলিশকর্মী। ট্রাক্টর উল্টে মৃত্যু হয় এক কৃষকের। সে দিনের পর থেকেই সেই ঘটনার থেকে নিজেদের পৃথক করার চেষ্টা চালিয়েছেন কৃষক নেতারা। তাঁদের দাবি, এর পেছনে তাঁরা জড়িত নয়। অন্য চক্রান্ত রয়েছে।
কৃষকরা প্রোটোকল ভেঙেছিল
পুলিশের অভিযোদ, কৃষকরা প্রোটোকল ভেঙেছিল এবং যে রুটে ওদের থাকতে বলা হয়েছিল, তার বাইরে চলে গিয়েছিল। ওরা ঐতিহ্যবাহী লাল কেল্লাতেও ঢুকে পড়ে। খুব খারাপভাবে ওরা ভারতীয় পতাকার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে নিজেদের পতাকা উত্তোলন করে। ট্রাক্টরগুলিকে ট্যাঙ্কের মতো ব্যবহার করেছে ওরা।
মূল অভিযোগ দীপ সিধুর বিরুদ্ধে
এদিকে সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি৷ বিক্ষোভকারীরা লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে৷ সেখানে ধর্মীয় পতাকা নিশান সাহিব লাগানো হয়৷ ওড়ানো হয় কৃষক সংগঠনের পতাকাও৷ বাধা দিলে কেল্লার ভিতরেই পুলিশের উপর চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা৷ যদিও লালকেল্লায় প্রবেশ ও ধর্মীয় পতাকা ওড়ানো নিয়ে কৃষক নেতারা পাঞ্জাবি অভিনেতা দীপ সিধুকে দায়ী করেছে৷ তার বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ এনেছেন অনেকে।