বিদ্রোহী টুইটার, ভারতের আইন মানতে চাইছে না, আইনমন্ত্রীর বার্তায় কিসের ইঙ্গিত
বিদ্রোহী টুইটার, ভারতের আইন মানতে চাইছে না, আইনমন্ত্রীর বার্তায় কিসের ইঙ্গিত
ভারতের নতুন তথ্য প্রযুক্তি আইন মানতে চাইছে না টুইটার। একাধিকবার সুযোগ দেওয়া হলেও ইচ্ছে করেই ভারতের নতুন তথ্য প্রযুক্তি আইন এডিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে ফের টুইটারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি অভিযোগ করেছেন বারবার সুযোগ হারিয়ে টুইটার বুঝিয়ে দিয়েছে তারা ভারতের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন মেনে চলতে চাইছে না।
রাখালের তদন্তভার গেল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে, চাপ বাড়তে পারে শুভেন্দুর উপরও
টুইটারের সঙ্গে সংঘাত
নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন মেনেই ভারতে কাজ করতে হবে টুইটারকে এমনই আল্টিমেটাম দিয়েছে কেন্দ্র। তাই বারবার ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন মেনে কাজ করার কথা বলেছে। কিন্তু কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে টুইটার সেই নির্দেশিকা এড়িয়ে গিয়েছে। তারা কিছুতেই ভারতের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন মানতে রাজি নয়। হাবেভাবে এমনই বার্তা দিয়েছে।
বাক স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে
টুইটার অভিযোগ করেছিল ভারতের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন বাক স্বাধীনতাকে হরণ করে। কোনও ভাবেই বাক স্বাধীনতা তারা লঙ্ঘন হোক চাননা। তার পাল্টা জবাবে কেন্দ্র দাবি করেছিল ভুল প্রচার চালাচ্ছে টুইটার। আইন মেনে চলার অর্থ এটা নয় েয বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে সবচেয়ে বেশি বাক স্বাধীনতা রক্ষা করা হয়। কাজেই টুইটারের এই অপপ্রচার কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে িদয়েছে কেন্দ্র।
রক্ষাকবচ হারাল টুইটার
ভারতে এবার আইনি রক্ষা কবচ হারাল টুইটার। কারণ টুইটার ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন মেনে চলছে না। তাই তাকে কোনও রকম অাইনি রক্ষা কবচ দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও মাইক্রোব্লগিং সাইট দাবি করেছিল তাঁরা ভারতের আইন মেনে চলার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্র। চিফ কমপ্লাই অফিসাপ নিয়োগ করার পরেও টুইটারের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেনি কেন্দ্র।
যেকোনও আইনি বিপদ আসতে পারে
আইনি রক্ষা কবচ হারানোর পরেই আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ দাবি করেণ টুইটার কিছুতেই ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন মানতে চাইছিল না। এবং সেটা তারা ইচ্ছে করেই করেছে। কাজেই এর পর তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ যেকোউ করতে পারেন। তাতে সরকারের কোনও রক্ষাকবচ থাকবে না।