কংগ্রেসের সভাপতির পদে ফের রাহুল ! 'গান্ধী' শিবির নিয়ে বিরোধিতা, বিতর্কের পর কোনপথে কংগ্রেস
লোকসভায় প্রবল বিপর্যয়ের পর কংগ্রেসের মসনদ ছেড়ে দেন রাহুল গান্ধী। একাধিক তাবড় কংগ্রেস নেতা তাঁকে বুঝিয়েও রাজি করতে পারেননি। এরপর অন্তবর্তীকালীন সময়ে সভানেত্রীর তখতে বসেন সনিয়া। তবে এবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে , ততই রাহুল গান্ধীর নাম এই পদে প্রকট হতে শুরু করেছে।
দৌড়ে একা রাহুল?
কংগ্রেসের অন্দরমহলের খবর, ফের একবার গান্ধী পরিবার থেকেই সর্বভারতীয় সভাপতি বেছে নিতে পারে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, একমাত্র রাহুল গান্ধীই রয়েছেন কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার দৌড়ে। এর আগে, এমন পদের জন্য একাধিক নেতার নাম প্রকাশ্যে আসলেও, এখন যা খবর তাতে রাহুল ছাড়া কাউকে ভাবছে না কংগ্রেস।
নাও হতে পারে নির্বাচন?
শোনা যাচ্ছে, রাহুলের বিরুদ্ধে যদি কোনও নেতা সভাপতির পদের নির্বাচনে না প্রার্থী হন, তাহলে ফের একবার সর্বসম্মতিক্রমে রাহুলকেই কংগ্রেস সর্বভারতীয় নেতা হিসাবে মেনে নেবে। সেক্ষেত্রে নেতা নির্বাচনের পর্ব সম্ভবত এড়িয়ে যাবে হাত শিবির।
সন্দীপ -শশীর কণ্ঠে উল্টো সুর!
দিল্লি নির্বাচনে কংগ্রেসের একটিও আসন না পাওয়ার ঘটনাকে নিয়ে একাধিকবার আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছে, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপের গলায়। তিনি বলেন, দলে তরতাজা নেতৃত্বের প্রয়োজন। এদিকে, শশী থরুরও একই সুরে দলের আত্মঅনুসন্ধানের উপরেই জোর দেন।
কংগ্রেসের কড়া নজরে সন্দীপ-শশী
এদিকে, সন্দীপ দীক্ষিতের প্রতিক্রিয়া জনসমক্ষে আসতেই ক্ষোভ ফোঁসে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, সন্দীপ যদি নিজের সংসদীয় এলাকায় ভালো কাজ করতেন তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হত না।
শশী থরুরের সমর্থন সন্দীপকে
এদিকে, গোটা পরিস্থিতি নিয়ে শশী থরুর দাবি করেন, সন্দীপ দীক্ষিত আদ যা খোলাখুলি বলছেন, তা সারা দেশের কংগ্রেস কর্মীরা গোপনে বলাবলি করছে। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের নেতৃত্বা তাজা মুখ আনার দাবিতে শীলা-পুত্রের সঙ্গে কার্যত একমত শশী থরুরও। এমন এক প্রেক্ষাপটে রাহুল গান্ধীর সভাপতির দৌড়ে এগিয়া থাকা ও সিডাব্লিউসির বৈঠক জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।