মিথ্যা বলছেন নির্মলা? ইঙ্গিত রাহুল গান্ধীর! অর্থনৈতিক ধসের নেপথ্যে কোন কারণ
করোনা ভাইরাসের কারণে এই বছর জিএসটি সংগ্রহ মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ভগবানের রোষণালের কারণে এই পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। জিএসটি ক্ষতিপূরণ আইন অনুসারে, রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া দরকার। তবে ৪১তম জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকে কেন্দ্র জানায়, তা করা সম্ভব হবে না। আর কেন্দ্রের সেই অক্ষমতার বিরোধিতাতে সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
করোনার অজুহাতে লুকোচ্ছে কেন্দ্র! জিএসটি ঘাটতি চলছে এক বছর ধরেই
নির্মলাকে তোপ রাহুলের
সাংবাদিকদের বলেছেন, 'ভগবানের মারে অর্থনীতি ধুঁকছে। এখানে কারওর কিছু করার নেই।' আর নির্মলার এই উক্তিকে নস্যাৎ করে রাহুল টুইটে এদিন লিখেছেন, 'ভারতীয় অর্থনীতি তিনটি কারণে ধ্বংস হয়েছে, ডিমনিটাইজেশন, জিএসটি ও ব্যর্থ লকডাউনের পরিকল্পনা। এর কোনওরকম অজুহাত থাকতে পারে না।'
দেশের আর্থিক গতি স্লথ থাকবে
এদিকে কয়েকদিন আরবিআই-এর তরফে বলা হয়েছিল, আগে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের আর্থিক গতি স্লথ থাকবে, বার্ষিক রিপোর্টে জানানো হয়, দেশে কোরোনা সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়ছে৷ তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে৷ বিশ্বে ২০০টির বেশি দেশ করোনা সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে৷ প্যানডেমিকের জেরে সেই সমস্ত দেশে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে৷
একাধিক বিষয়ে বিজেপিকে আক্রমণ রাহুলের
বিজেপি আমলে প্রথম থেকেই নোটবাতিল, জিএসটি ও লকডাউনের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। একদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে রাহুল বলেছিলেন, 'আমি কয়েক মাস আগে যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম, আরবিআই সেটাই নিশ্চিত করল৷'
কেন্দ্রকে উপদেশ রাহুল গান্ধীর
রাহুল নিজের টুইটে লেখেন, 'এই পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত ধার কম নেওয়া এবং খরচ বেশি করা৷ শিল্পপতিদের উপর করের বোঝা চাপানো বন্ধ করা৷ গরিব মানুষের হাতে যাতে টাকার জোগান দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা৷ ব্যয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা৷' পাশাপাশি কটাক্ষ করে লেখেন, 'মিডিয়ার সাহায্যে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা দেশের গরিবদের সাহায্য করবে না৷'
কেন্দ্র কী করে পরীক্ষার বোঝা চাপাতে পারে? NEET-JEE ইস্যুতে ছাত্রদের উস্কাতে টুইট রাহুলের