১৫৩ কেজি ওজন অভিযুক্তর, 'ভয়ে' আর্থিক তছরুপকারীকে ছেড়ে দিল আদালত
পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট সম্প্রতি এমন একজনকে জামিন দিয়েছে যে যার ওজন ১৫৩ কেজি। শুধুমাত্র এই বিপুল বপু চেহারার জন্যই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। সব সমস্যার মূলে ছিল ওই বিপুল ওজন।
কী বলেছেন বিচারপতি?
বিচারপতি গুরবিন্দর সিং গিল বলেছেন যে, "সংশোধনাগারের চিকিৎসক এবং জেলের হাসপাতালের পক্ষে এমন ভাবে নজরদারি করা সম্ভব নয় যার একসঙ্গে প্রচুর রোগ রয়েছে শরীরের মধ্যে। তাহলে তাকে সব সময় নজরে রাখতে হয়। এমন পরিষেবা অন্তত জেলে তো দেওয়া যায় না। তাই তাকে জামিন দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
শারীরিক অসুস্থতা
জানা গিয়েছে নিজের এই শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে ওই ব্যক্তি আদালতের কাছে পিটিশ্ন দাখিল করেছিল। আইনজীবী বিক্রম চৌধুরী পিটিশনারের হয়ে আদালতে লড়ছিলেন। সত্যপাল জৈন লড়ছিলেন ইডির হয়ে, কারণ ওই ব্যক্তি আর্থিক তছরুপের দায়েই অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তাকে ধরেছিল ইডি। ৫৩ কোটি টাকার তছরুপের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগ ছিল।
বলা হয় যে সে যে টাকা পেয়েছেন এবং তাকে যা টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছিল তা পুরোটাই তাঁর কাজের জন্য দেওয়া হয়েছিল। সফটওয়্যার বিসেশজ্ঞ হিসাবে তিনি এই অর্থ রোজগার করেছিলেন। এরপরেই আবেদন করা হয় যে, ওই ব্যক্তির ওজন ১৫৩ কেজি, এর জন্য তাঁর সব দিকে দিয়ে সমস্যা রয়েছে। জেলের এই অবস্থায় থেকে এটা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
মৃত্যুর সম্ভাবনা
তাকে যদি এই অবস্থাতেও জেলে রেখে দেওয়া হয় তাহলে সে মারা যেতে পারে। কোর্ট বলে যে, 'বর্তমান পরিস্থিতি দেখে এটা জানা গিয়েছে যে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যা অভিযোগ আছে তা সমস্ত রাখা ওই ব্যক্তির ল্যাপটপে। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা আছে। আরও টাকা তাঁর কাছে ছিল। সেগুলো সে নানা পরিচিত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে রেখে দিয়েছে। সে কোটি কোটি টাকা। এর মূল্য যে সেভাবে বলা যাবে না। তা ধারনার বাইরে বললেও ভুল হয় না।
ওজন ১৫৩ কেজি
পাশাপাশি কোর্ট এও বলে যে, পিটিশনকারীর নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা আছে। তাঁর ওজন ১৫৩ কেজি। এর জন্য তাঁর হাই প্রেসার আছে, ডায়াবেটিস তো আছেই। তাঁর হার্টের সমস্যাও এসেছে। তাঁর এই সমস্ত রোগ এসেছে ওই চেহারার জন্য। এটা শুধুমাত্র একটা উপসর্গ নয় বরং এটার জন্যই বাকি সমস্যা এসেছে। একাধিক কো-মরবিডিটি আছে। এমন অবস্থায় তাকে জেলে রেখে দেওয়া ঠিক নয়। প্রচুর যত্নের দরকার। এসব কাজ সংশোধনাগারের নয়।
হিমাচলে বিজেপির মূল বাধা যেন বিদ্রোহীরা, মোদীর ফোনেও সিদ্ধান্তে অটল বিজেপি নেতা, লড়বেন নির্দল হয়ে