প্রভিডেন্ট ফান্ডের জমানো অর্থরাশিই লকডাউনে একমাত্র অবলম্বন প্রায় ৮ লক্ষ কর্মচারীর
প্রভিডেন্ট ফান্ডের জমানো অর্থরাশিই লকডাউনে একমাত্র অবলম্বন প্রায় ৮ লক্ষ কর্মচারীর
করোনা সংকটের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের জীবনমান বজায় রাখতে যেকোনও ব্যক্তির পেনশন তহবিল থেকে ৭৫ শতাংশ টাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সরকারি ভাবে। দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৮.২ লক্ষ মানুষ লকডাউন থেকে বাঁচতে সঞ্চয় থেকে ৩,২৪৩.১৭ কোটি ডলার তুলে নিয়েছেন।
কী বলছে শ্রম মন্ত্রকের বিবৃতি
শ্রম মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের আওতাধীন ইপিএফও প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা প্যাকেজের আওতাধীন কোভিড-১৯ সংক্রান্ত প্রায় ৭.৪০ লক্ষ আবেদন সহ মোট ১২.৯১ লাখ আবেদনে ইতিমধ্যেই সাড়া দিয়েছে কেন্দ্র। এই বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ২,৩৬৭.৬৫ কোটি টাকা।
করোনা সংকট শুরু হতেই বিজ্ঞপ্তি ইপিএফও-র
এদিকে করোনা সংকট শুরু হতেইইপিএফওতে নিবন্ধিত প্রায় চার কোটি কর্মী তিন মাসের জন্য বা মূল মজুরি ও মহার্ঘ্য ভাতার মোট পরিমাণে ৭৫% অবধি তুলতে পারবেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সকলকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়।
বেসরকারি অবসরকালীন তহবিলেও দেওয়া হয়েছে এই সুবিধা
অন্যদিকে ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ পর্যন্ত, এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত পিএফ ট্রাস্টগুলি দ্বারা কোভিড-১৯ এর জন্য অগ্রিম হিসাবে ৭৯,৭৪৩ জন পিএফ সদস্যকে মোট ৮৭৫.৫২ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৩৮.২৩ কোটি টাকা । এখনও পর্যন্ত এই খাতে এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করেছেন ৫৪,৬৪১ জন।