দুই টাকা করে দাম বাড়তে চলেছে ডিমের, ৩০ শতাংশ দাম বাড়তে পারে চিকেনেরও!
সাধারণ মানুষের উপর ক্রমশ বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধির কোপ! পেট্রোল থেকে রান্নার গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া। যা কিনতে গেলে পকেট পুড়ছে সাধারন মানুষের। এরসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শাকসবজির দামও। এই অবস্থায় মানুষের উপরে মূল্যবৃদ্ধির চাপ আরও
সাধারণ মানুষের উপর ক্রমশ বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধির কোপ! পেট্রোল থেকে রান্নার গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া। যা কিনতে গেলে পকেট পুড়ছে সাধারন মানুষের। এরসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শাকসবজির দামও। এই অবস্থায় মানুষের উপরে মূল্যবৃদ্ধির চাপ আরও বাড়তে চলেছে। এবার দাম বাড়তে চলেছে ডিম এবং মাংসের দাম।
গত একমাস ধরে ক্রমশ চাহিদা বেড়েছে ডিমের। কিন্তু সেভাবে সাপ্লাই নেই। ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ডিমের দাম বাড়তে চলেছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বলছেন, মজুদ থাকা অবস্থাতেই রিটেলে বিক্রি হওয়া একটি ডিমের দাম ৭টাকা। আর তা বেড়ে ৯ টাকা হতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
আজকে ডিমের দাম
NECC-National Egg Coordination Committee -এর তরফে জানা গিয়েছে দিল্লিতে ১০০ ডিমের দাম ৫৪০ টাকা। অহমেদাবাদে ৫১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১০০ ডিম। আজমেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫১২ টাকা, রাঁচিতে ৫৫৭ টাকা। পাটনাতে প্রতি ১০০ টা ডিমের দাম ৫৫২ টাকা। লখনউতে ৫৫৭ টাকা। বারানসিতে ৫৬০ টাকা। এবং কলকাতাতেও ৫৬০ টাকা প্রতি ১০০ টা ডিমের দাম। যদি এই মাসের শুরুতে ডিমের দাম নিয়ে আলোচনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে এই দাম ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা ছিল। আর একধাক্কায় সেই দাম ৫৬০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। ফলে দাম ক্রমশ বাড়ছে।
মাংসের দামও বেড়েছে
দিল্লির মুরগি মান্ডি গাজিপুরের মুরগি ব্যবসায়ীরা এক সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন, চিকেনের দাম ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। গত সোমবার পর্যন্ত হোলসেল মার্কেটে চিকেনের দাম ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একধাক্কায় সেই দাম প্রতি কিলোয় ২১০ টাকা হয়ে গিয়েছে। আর যদি রিটেল ব্যবসার কথা হয় তাহলে এই মুহূর্তে চিকেন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কিলোগ্রাম ২৫০ টাকা থেকে ২৬০ টাকাতে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও ১০ থেকে ১২ টাকা দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। হোলসেল ব্যবসায়ীদের মতে, চিকিনের দাম ৩০ শতাংশ বাড়তে পারে।
কেন ডিমের দাম বাড়ছে
উত্তরপ্রদেশের পোল্ট্রি ফার্মস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবাব আলি আকবর ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, প্রত্যেক বছরে ঠান্ডার সময়ে চিকেন এবং ডিমের চাহিদা বাড়তে থাকে। কিন্তু এই বছর সাপ্লাই অনেকটাই কম। কিন্তু সেই চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। আর সেই চাহিদা মতো জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও কৃষকদের প্রতিপালন খরচ বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় দাম বাড়ছে বলে দাবি ব্যবসায়ী সংগঠনের।
সংগঠনের তরফে বলা হচ্ছে, যে সমস্ত ক্ষেত্রে ডিম স্টোক করে রাখা হয়েছিল সেগুলিও বেরিয়ে যেতে শুরু করেছে। ফলে ডিসেম্বরের শেষ কিংবা জানুয়ারির শুরুতেই ডিমের দাম ২ টাকা করে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।