গান্ধীজির ১৫৩তম জন্মদিন, রাজঘাটে বিশেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির
Array
আজ মহাত্মা গান্ধীর ১৫৩তম জন্মদিন। ভারতের সমস্ত নেতারা আজ জাতীর জনককে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফুল দিয়ে রাজঘাটে সম্মান জানান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে এদিন লিখেছেন যে, "এই বছরে গান্ধী জয়ন্তী বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বছর দেশ তার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে"। তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন যে আপনারা সবাই খাদির জিনিষ কিনুন এবং মহাত্মা গান্ধীকে সম্মান জানিয়ে সবাই হাতে তৈরি জিনিষ পড়তে বলেন।
রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। তিনি টুইট করে লিখেছেন, সবাই মহাত্মার দেখানো পথে চলুন। চলুন সত্যের পথে। শান্তির পথে এগিয়ে চলুন। তিনি এও বলেন যে , জীবনের মূল্য কতটা তা বোঝার জন্যও আজকের দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ গান্ধিজি সেটাও শিখিয়ে গিয়েছেন।
জাতির জনকের সমাধিতে সম্মান
তিনিও রাজঘাটে যান এবং জাতির জনকের সমাধিতে সম্মান জানান। কংগ্রেসের নেতারাও গান্ধী জয়ন্তি পালন করছেন তাদের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে। ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খারগেও। তাঁরাও সবাই রাজঘাটে গিয়ে ফুল মালা দিয়ে করেন শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।
অমিত শাহের টুইট
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এদিন গান্ধিজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেন এবং বলেন যে সত্য , অহিংসা এবং শান্তির জন্মদাতা, আপনাকে প্রনাম জানাই। সারা বিশ্বে গান্ধী জয়ন্তী পালিত হয় আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উপলক্ষ্যে। ইউনাইটেড নেশনসের সম্পাদক অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন যে, "আমরা গান্ধীজীর জন্মদিন পালন করি শান্তি জন্য তাঁকে আমরা সম্মান জানাই। তাঁর কাজ তাঁর ধ্যান ধারনা আমাদের সবার জীবনের পাথেয় হওয়া উচিৎ।"
মহাত্মা গান্ধীজি
গান্ধীজির আন্দোলনে প্রথম সাফল্য আসে ১৯১৮ সালের চম্পারণ বিক্ষোভ এবং খেদা সত্যাগ্রহের মাধ্যমে।
জমিদারের লাঠিয়ালদের মাধ্যমে অত্যাচারিত হয়েও তারা নামেমাত্র ক্ষতিপূরণ পায় যা তাদের তীব্র দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেয়। গ্রামগুলোকে অতিরিক্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর করে রাখা হয় এবং মদ্যপান ও অস্পৃশ্যতা ছিল ব্যাপক। মারাত্মক দুর্ভিক্ষের মাঝে ব্রিটিশ একটি শোষণমূলক কর চালু এবং তা বাড়াবার চেষ্টা করে। এতে পরিস্থিতি প্রচণ্ড অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। খেদা এবং গুজরাতেও একইরকম অবস্থা ছিল। গান্ধী সেখানে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার বহুদিনের সমর্থক ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের একত্রিত করেন। তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ জরিপ চালিয়ে গ্রামের মৃত্যুর হার এবং গ্রামবাসীদের ভয়াবহ দুর্ভোগের উপাত্ত সংগ্রহ করেন। গ্রামবাসীদের কাছে বিশ্বস্ত হবার পর তিনি গ্রামকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি স্কুল ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং গ্রামের নেতৃস্থানীয় লোকদের সামাজিক নির্যাতন এবং কুসংস্কারমুক্ত হবার আহ্বান জানান।
কিন্তু তার মূল প্রভাব পরিলক্ষিত হয়, যখন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রদেশ ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। জেলের বাইরে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এছাড়াও পুলিশ স্টেশন ও আদালতে এসে তারা গান্ধীর মুক্তি দাবি করতে থাকে যা আদালতকে নীরবে মেনে নিতে হয়। এরপর থেকে যা হয়েছে তা ইতিহাস।
সরকারি কর্মচারীদের ফোন ধরে হ্যালোর পরিবর্তে বলতে হবে বন্দেমাতরম, মহারাষ্ট্রে লাগু নয়া নিয়ম