Pariksha pe Charcha: 'আমার হাতে কি মোবাইল দেখেছ কখনও', পরীক্ষার্থীদের কী পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
পরীক্ষার্থীদের ডিজিটাল উপসের পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
সামনেই সব বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। তার আগে প্রতিবছরের মত এবছরও পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এবারে পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে তিনি ডিজিটাল উপোসের কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী পড়ুয়াদের সব সময় মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
পরীক্ষা পে চর্চা
প্রতিবছরের মত এই বছরও পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে এই পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর আগের ২ বছর করোনার কারণে ভার্চুয়াল পরীক্ষা পে চর্চা করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে বোর্ড পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। সামনে কোন পথে তাঁরা চলবেন সেই পরামর্শ দিয়েছেন। অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরও পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পড়ুয়ারা কোন পথে এগোলে সাফল্য পাবেন তার পরামর্শও দেন তিনি।
ডিজিটাল উপোস
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন বার্তা দিয়েছেন পড়ুয়াদের ডিজিটাল উপোসের কথা। তিনি বলেছেন এখন মোবাইলেই সকলে মগ্ন হয়ে থাকছেন। একই বাড়িতে থেকেও হোয়াটস অ্যাপে সকলে কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদী সেকারণে ডিজিটাল উপোসের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, 'উপোস করলে যেমন শরীর সুস্থ থাকে, ঠিক সেভাবেই সপ্তাহে একদিন বা দিনে কয়েক ঘণ্টা ডিজিটাল মাধ্যম ও প্রযুক্তি থেকে উপোস করুন।' তিনি বলেছেন, 'একই ঘরে বসে এখন হোয়াটসঅ্যাপ করেন এখন সবাই। এই রোগকে দূর করতে হবে। বাড়িতে এমন একটা জায়গা চিহ্নিত করুন, যা নো টেকনোলজি জ়োন হবে। সেখানে কোনও প্রযুক্তির ব্যবহার করা যাবে না।'
লক্ষ্য স্থির করুন
পড়ুয়াদের লক্ষ্য স্থির রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি পড়ুয়াদের লক্ষ্য স্থির রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'কখনও মিথ্যের আশ্রয় নেবেন না। আমরা পরীক্ষা দিয়ে ফিরে বাড়িতে এমনভাবে বলি যেন পরীক্ষায় ৯০ পাব। এদিকে রেজাল্ট বেরলে দেখা যায ৪০-৪৫ পেয়েছে। এই জন্য বলছি, মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া উচিত নয়।' িতনি আরও বলেছেন, প্রতিযোগিতার মধ্যে না গিয়ে, নিেজর জন্য বাঁচার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, 'বন্ধুরা কী করছে, তা দেখে আমরাও প্রভাবিত হই, সর্বক্ষণ প্রতিযোগিতা চলে। তই চিন্তাও বাড়ে। নিজের জন্য বাঁচো। জীবন কখনও কারোর জন্য দাঁড়িয়ে থাকে না। পরীক্ষাই জীবনের শেষ ধাপ নয়। যাই হোক, জীবনে হার মানলে চলবে না। এই মন্ত্রই অনুসরণ করে চলা উচিত'
অভিভাবকদের পরামর্শ
পড়ুয়াদের
পাশাপাশি
অভিভাক
এবং
শিক্ষকদেরও
পরামর্শ
দিয়েছেন
তিনি।
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদী
বলেছেন,
'আজকা
শিক্ষকেরা
নিজেদের
মধ্যেই
হারিয়ে
যাচ্ছেন।
তারা
সিলেবাস
অনুযায়ী
ক্লাসে
এসে
২০-৩০
মিনিট
পড়ান।
আর
কিছু
পড়াতে
চান
না।
শিক্ষকরা
মোবাইল
দেখেও
পড়ান
বলে
অভিযোগ
করেছেন
তিনি।
তিনি
পড়ুয়াদের
সঙ্গে
শিক্ষকদের
মেশার
পরামর্শ
দিয়েছেন।'
সেই
সঙ্গে
প্রধানমন্ত্রী
মোদী
বলেছেন
অভিভাবকরা
নিজেদের
ইচ্ছে
চাপিয়ে
দেবেন
না
সন্তানদের
উপরে।
তাতে
তাঁদের
স্বতোঃস্ফূর্ততা
নষ্ট
হয়ে
যায়।