অপরাধ দমন থেকে চিকিৎসা! হ্যাকাথনে ডিজিটাল আত্মনির্ভর ভারত গড়ার বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
এদিন স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনের গ্র্যান্ড ফাইনাল ছিল। সেই ফাইনালেরই সূচনা হয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য দিয়ে। স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন হল দেশব্যাপী এমন একটি উদ্যোগ যা শিক্ষার্থীদের আমাদের প্রতিদিনের জীবনের চাপ নিরশন ও কঠিন পরিস্থিতিতে কিছু সমাধানের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। এবছরের হ্যাকাথনে মোট ৪.৫ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছে। ফাইনালে ১০ হাজারেরও বেশি ছাত্র অংশ নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ৩৭টি, রাজ্য থেকে ১৭টি ও বিভিন্ন ইন্ডাসট্রি থেকে ২০টি প্রশ্ন সহ মোট ২৪৩টি প্রশ্নের জবাব খুঁজতে শুরু হবে এই হ্যাকাথলন প্রতিযোগিতা।
ছাত্রদের সমস্যা সমাধানের কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী
এদিন অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের একাধিক বিষয়ে গবেষণা ও সমস্যা সমাধানের কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের উৎসাহ দেওযার পাশাপাশি তাঁদের কাজের পরিধি আরও কী করে বাড়ানো যায় তা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শেখা, প্রশ্ন করা ও সমাধান করা বন্ধ করবে না
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিয়োগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'কখনও শেখা, প্রশ্ন করা ও সমাধান করা বন্ধ করবে না। যখন নতুন কিছু শেখা যায় তখন জ্ঞান বাড়ে, যখন প্রশ্ন করো তখন সেটার সমাধান খুঁজে পাওয়ার ইচ্ছা যাগে। যখন সমাধান করতে যাবে তখন আরও নতুন নতুন অভিনব চিন্তা মাথায় আসবে।'
নয়া শিক্ষা নীতির প্রশংসায় মোদী
এরপর প্রধানমন্ত্রী নতুন শিক্ষা নীতির বিষয় তুলে ধরে বলেন, 'এই নতুন শিক্ষা নীতি ছাত্রদের নিজেদের প্রতিভা চিনতে সাহায্য করবে। এই নীতি মানুষকেন্দ্রিক ও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা।' তিনি আরও বলেন, 'এক কোর্সে বিভিন্ন ধারা থেকে বিষয় ইচ্ছে মতো বেছে নেওয়ার এই নীতির প্রয়োজন ছিল। নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের পরে শিক্ষার্থীরা তাদের আগ্রহ অনুযায়ী যে কোনও শাখার - আর্টস, বিজ্ঞান, বাণিজ্য বা বৃত্তিমূলক বিষয়গুলি বেছে নিতে পারবে।'
কী কী বিষয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন প্রতিযোগীরা
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সামনে প্রতিযোগীরা রিইউজঅ্যাবেল স্যানিটারি ন্যাপকিন থেকে শুরু করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রয়োগ, অপরাধ দমনে নতুন প্রযুক্তি, মাস্ক পরে থাকলেও ফেশিয়াল রেকগনিশনের মতো বিভিন্ন সমাধান সূত্র তুলে ধরে যাতে প্রধানমন্ত্রী তাদের আরও উৎসাহ দেন।