জনতা কার্ফুর 'ভুল'-এর পুনরাবৃত্তি চান না, দেশবাসীর উদ্দেশে কোন বার্তা প্রধানমন্ত্রীর?
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে ২২ মার্চ রবিবার দেশ জুড়ে জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে দেখা যায়, রবিবার সারা দিন রাস্তা ঘাট প্রায় ফাঁকা থাকলেও বিকাল পাঁচটার পর রাস্তায় নেমে পড়েন বহু লোক। এর জেরে অনেক বিশেষজ্ঞই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, তবে আর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাড় থেকেই বা কী লাভ হল।
করোনা লড়াইয়ে ৯ মিনিট সময় চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
জনতা কার্ফুর পর ফের একবার দেশবাসীর কাছে সময় চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী রবিবার, অর্থাৎ ৫ এপ্রিল জেশবাসীর কাছে করোনা লড়াইয়ে ৯ মিনিট সময় চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে আগের বারের মতো বিকালের বদলে এবার তিনি সময় চাইলেন রাতের বেলা।
থালা বাজানোর ডাক দেওয়ায় মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছিল
মনে করা হচ্ছে আগের বার বিকালে থালা বাজানোর ডাক দেওয়ায় মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছিল পরিস্থিতির গুরত্ব না বুঝে। তাই এবার রাতে এক হওয়ার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী, যাতে সেই সময় কেউ বাড়ি থেকে না বের হয়।
লকডাউন ঘোষণার পর দেশবাসীর প্রতি প্রথম বার্তা
২৪ মার্চ দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন করার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, তার ঠিক ৯ দিন পরে এটাই দেশবাসীর প্রতি তাঁর প্রথম বার্তা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, '৫ এপ্রিল রবিবার রাত ৯ টায় সকলের ৯ মিনিট চাইছি। ৫ এপ্রিল রাত ৯টায় ঘরের সমস্ত লাইট জ্বালিয়ে ঘরের বাইরে , বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঘরের লাইট বন্ধ রাখুন। মোমবাতি, বা মোবাইলের লাইট জ্বালান।'
আলোর উজ্জ্বলতায় করোনার অন্ধকার দূর হবে
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'এই আলোর উজ্জ্বলতায় করোনার অন্ধকার দূর হবে। এই আলোর আয়োজনের সময় , রাস্তায় বা পাড়ায় যেন কেউ না বের হন। নিজের ঘরের ব্যালকনি থেকেই এই আলো জ্বালানোর উদ্যোগ নিতে হবে। করোনা তাড়াতে আলো জ্বালানোই রামবাণ হবে। এই লকডাউনের মধ্যেই মা ভারতীর সাধনা করুন। আসুন, সকলে মিলে করোনাকে হারিয়ে ভারতকে বিজয়ী বানাই।'