ফেব্রুয়ারির দিল্লি হিংসায় জামিয়া-আরজেডি যোগ! ষড়যন্ত্রের দায়ে গ্রেফতার পিএইচডি ছাত্র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরকালীনই হিংসার আগুনে জ্বলে ওঠে দিল্লি। সিএএ সমর্থনকারী ও বিরোধীদের সংঘাত ক্রমেই সাম্প্রদায়িক হিংসায় পরিণত হয়। এবার সেই ঘটনায় যুক্ত থাকা ও চক্রান্ত করার অভিযোগ গ্রেফতার করা হল জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পিএইচডি ছাত্রকে।
হিংসা ছড়ানোর পিছনে ইন্ধন
জানা গিয়েছে ধৃত ছাত্রটি দিল্লির হিংসা ছড়ানোর পিছনে ইন্ধন যোগানোর কাজে যুক্ত ছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিরান হয়দার মানক ধৃত ছাত্রটি লালু প্রশাদ যাদবের আরজেডি-র যুব শাখার দিল্লির প্রধান।
দিল্লির উত্তর-পূর্ব এলাকা জ্বলে ওঠে
জানা গিয়েছে ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লির উত্তর-পূর্ব এলাকায় অনেক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে পুরোনো অনেক ভিডিও ফরোয়ার্ড করা হয় যেগুলি আদতে দিল্লি হিংসার সঙ্গে যুক্ত নয়। পুরোনো ভিডিও দেখিয়ে সেই গ্রুপগুলিতে ক্রমাগত উস্কানিমূলক বার্তা ছড়ানো হয়। সেই গ্রুপ বানানোর সঙ্গে হয়দার যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে। যদিও পুলিশের তরফে এখনও খোলশা করে কিছু বলা হয়নি।
এর আগে ১৪০০ জনকে গ্রেফতার
এর আগে দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় যু্ক্ত থাকার অভিযোগে ১৪০০ জনকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়েছিল। ধৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এরকম উত্তেজনা ছড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে। আরও জানতে আটক হয়দারকে জেরা করছে পুলিশ।
হিংসায় প্রাণ হারান ৫০ জন
৪৩৬টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে হিংসা সম্পর্কিত ঘটনায়। এই মামলাগুলির মধ্যে ৪৫টি হল বেআইনি ভাবে অস্ত্র রাখার দায়ে। তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত আছে বলে দাবি করা হয়। এই হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ৫০। জখম হয়েছেন আরও ৩৫০ জন।
মৃতদের তালিকায় ৮৫ বছরের বৃদ্ধা থেকে আইবি অফিসার
দিল্লির হিংসায় যেমন মারা গিয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল ও আইবি অফিসার, তেমনই মৃতদের মধ্যে রয়েছেন সদ্য বিবাহিত এক ব্যক্তি, একজন ডিজে, এক ব্যবসায়ী, একজন বাবা যে তাঁর সন্তানদের জন্য টফি কিনতে বেরিয়েছিলেন, একজন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা। রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও। দিল্লি হিংসা চলাকালীন অশান্ত এলাকায় খবর সংগ্রহে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের রোষের সামনে পড়েছেন সাংবাদিকরা।