অর্থনীতির অধঃগতি থামাতে প্রত্যেক ভারতীয়কে দৈনিক ১০ ঘণ্টা কাজের পরামর্শ নারায়ণমূর্তির
অর্থনীতির অধঃগতি থামাতে প্রত্যেক ভারতীয়কে দৈনিক ১০ ঘণ্টা কাজের পরামর্শ নারায়ণমূর্তির
লকডাউন যদি এভাবেই চলতে থাকে তবে করোনা ভাইরাসের চেয়েও দেশে ক্ষিধেয় মৃত্যু বেশি হবে বলেই মনে করেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এনআর নারায়ণ মূর্তি। তিনি এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন যে দেশকে করোনা ভাইরাসকে নতুন স্বাভাবিক রোগ হিসাবে গ্রহণ করতে হবে এবং যাঁরা সক্ষম তাঁদের কাজে ফেরার সুযোদ করে দিয়ে দুর্বলদের সুরক্ষা দেওয়া হোক।
করোনা ভাইরাস নিয়ে কৌশলগত পরিচালনা
মূর্তি বলেন, ‘ডেটা নেতাদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন, মতামতের উপর আমাদের নির্ভর করা উচিত নয়।' দেশে কোভিড-১৯ ইস্যুটির অন্যনতা ও আবেগঘন না হয়ে কিভাবে এটা নিয়ে কৌশলগতভাবে পরিচালনা করা যায় তার জন্য বহু ঞাটা, গবেষেণা ও বিশ্লেষণ রয়েছে। মূর্তি আরও জানিয়েছেন যে করোনা ভাইরাস অবশ্যই একটি ডেটা-চালিত ইস্যুতে পরিণত হবে যাতে অর্থনীতির ক্ষতি বা জনগণের স্বাস্থ্যের সঙ্গে কোনও আপস না করে অর্থবহ সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
কঠোর ও দীর্ঘসময় কাজ করতে হবে
কর্পোরেশন এবং ব্যবসায়ীদেরও পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং সরকারকে তাদের কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সামাজিক দূরত্বকে সম্ভাব্য করে তুলতে কাজ কমিয়ে আনা যেতে পারে এবং আরও শিফট যুক্ত করা যেতে পারে, কারণ কমপক্ষে পরবর্তী ১২-১৮ মাসের জন্য প্রতিদিনের জীবনে করোনা ভাইরাস অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত হয়ে যাবে, জানান মূর্তি। তিনি জানিয়েছেন যে ভারতীয়দের দীর্ঘসময় ও কঠোর মেহনত করার প্রতিশ্রুতি নিতে হবে। মূর্তি উল্লেখ করে জানান যে দেশে দ্রুত অর্থনীতিতে চাঙ্গা করতে আগামী দু থেকে তিনবছর ভারতীয়দের সপ্তাহে ৬ দিন ১০ ঘণ্টা করে কাজ করার প্রতিশ্রুতি নেওয়া দরকার।
ভারতীয়দের ৬০ ঘণ্টা কাজ করা উচিত
মূর্তি বলেন, ‘৪০ এর পরিবর্তে সপ্তাহে ৬০ ঘন্টা কাজ করা নিশ্চিত করবে যে আমরা জাতিকে দ্রুত তার অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছি।' তিনি এর সঙ্গে আরও যোগ করে জানিয়েছেন যে উদ্যোক্তাদের ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং কাজের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ ঘন্টা সময় নিয়ে কাজ করা উচিত। তিনি ঘরে বসে কাজ করার সংস্কৃতি সম্পর্কে জানিয়েছেন উৎপাদনশীলতার মানগুলি সম্পর্কে সজ্ঞায়িত করতে হবে। মূর্তি বলেন, ‘উৎপাদনশীলতার মানগুলি মেনে না চললে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে কাজে দেবে না বাড়ি বসে কাজের সংস্কৃতি। তবে যদি প্রত্যেকটি পদে থাকা কর্মী উৎপাদনের মান বজায় রাখতে সফল হন তবে আপনি যে কোনও জায়গা থেকে কাজ করতে সক্ষম হবেন।'
দেশের ৩৭ বছর সময় লাগতে পারে করোনা টেস্ট হতে
ভারতের করোনা টেস্টিং ধারণ প্রসঙ্গে মূর্তি জানিয়েছেন যে ভারতে যদি রোজ একলক্ষ টেস্ট হয়, তবে ৩৭ বছর সময় লাগবে সকলকে পরীক্ষা করতে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনও প্রতিষেধক বের হয়নি এবং অদূর ভবিষ্যতে যদি কোনও প্রতিষেধক বের হয় তবে তা আদৌও ভারতীয় জিনের ওপর কীআজ করবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।
ঋষিকে দেখতে হাসপাতালে কেন যেতে চাননি অমিতাভ! আজ সবকথা ফাঁস করলেন