সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সংবিধান রক্ষার জন্য ইন্ডিয়া গেটে গণ অঙ্গীকার
নতুন বছর শুরুর দিনেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে। স্লোগান উঠেছিল কাগজ দেখাবো না। একইসঙ্গে সমবেত জনতা সেখানে সংবিধানের রক্ষায় শপথবাক্যও পাঠ করেন।
নতুন বছর শুরুর দিনেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে। স্লোগান উঠেছিল কাগজ দেখাবো না। একইসঙ্গে সমবেত জনতা সেখানে সংবিধানের রক্ষায় শপথবাক্যও পাঠ করেন। দর্শনার্থী আর আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের জেরে এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে।
এদিন ইন্ডিয়া গেটে বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই ছিল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। প্রথমেই তাঁরা সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন। এরপরেই তারা গণঅঙ্গীকার করেন কোনও প্রমাণপত্র তারা দেখাবেন না। এপ্রসঙ্গে তারা এনআরসি এবং এনপিআর-এরও উল্লেখ করেন। বিক্ষোভকারীরা জাতীয় পতাকা তুলে ধরে নতুন আইনের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় আন্দোলনকারী ছাত্রনেতারা জানিয়েছেন, লিঙ্গ, বর্ণ, ভাষা কিংবা ধর্মের ভিত্তিতে কোনওভাবেই সহনাগরিকদের সঙ্গে বৈষম্য মেনে নেওয়া হবে না। পাশাপাশি তারা বলেন, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিগতভাবে সাম্যতা এবং ন্যায়বিচারের মাধ্যমে একে অপরকে আশ্বস্ত করছেন তাঁরা।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্র স্বার্থক চৌবে বলেন, নতুন বছরে সংবিধান রক্ষার জন্য শপথ নিয়েছেন তারা। তিনি আরও বলেন, তারা(সরকার) যা কিছু তাই করতে পারে না। কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। সংবিধানের মূল কাঠামোকে ভেঙে ফেলতে দেওয়া যাবে না।
কোনও রকমের অপ্রীকর ঘটনা এড়াতে দিল্লি ইন্ডিয়া গেটে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মেট্রোর বেশ কয়েকটি স্টেশনও। যার মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট, উদ্যোগ ভবন, প্রগতি ময়দান, খান মার্কেট, মান্ডি হাউস।
বিক্ষোভকারী এবং দর্শনার্থীদের ভিড়ে এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও ট্রাফিক জ্যাম হয়।