
ওমর, মেহবুবার বিরুদ্ধে জন সুরক্ষা আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক চিদাম্বরমের

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবুল্লাকে। বৃহস্পতিবারই তাঁদের উপর জন সুরক্ষা আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত ও মর্মাহত বলে জানালেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম।

ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির উপর লাগু জন সুরক্ষা আইন
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর ৫ অগাস্ট থেকেই ৪৯ বছর বয়সী ওমর আবদুল্লাহ ও ৬০ বছর বয়সী মেহবুবা মুফতিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৭ নম্বর ধারার আওতায় আটক করে রাখা হয়েছি। তবে এবার ফারুক আবদুল্লাহর মতো তাদের উপরও লাগু করা হল জন সুরক্ষা আইন।
|
প্রতিবাদের ডাক দিয়ে টুইট চিদাম্বরমের
এই বিষয়ে শুক্রবার সকালে টুইট করে নিজের বিস্ময় ও দুঃখ পাওয়ার কথা জানান পি চিদাম্বরম। তিলি লেখেন, 'বিনা অভিযোগে আটক রাখা গণতন্ত্রের সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ। যখন অন্যায্য আইন পাস হয় বা অন্যায় আইন প্রয়োগ করা হয়, তখন শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা ছাড়া জনগণের কাছে আর কোন উপায় আছে?'

গত ৬ মাস ধরে গৃহবন্দি কাশ্মীরি নেতারা
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর প্রায় ৬ মাস ধরে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লা। সেই বন্দিদশা আরও বাড়তে চলেছে। কারণ মোদী সরকার তাঁদের উপর জন সুরক্ষা আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে আইনের বলে তাঁদের আদালতে পেশ না করেই ২ বছর পর্যন্ত আটক করে রাখা যাবে।

একাধিক কাশ্মীরি নেতার উপর প্রয়োগ হবে জন সুরক্ষা আইন
শুধু ওমর এবং মেহবুবা মুফতি নয় একাধিক ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতার বিরুদ্ধে একই ধারা প্রয়োগ করতে চলেছে মোদী সরকার। এনসি-র সাধারণ সম্পাদক আলি মহম্মদ সাগর, প্রাক্তন এনসি বিধায়ক বশির ভির, পিডিপি নেতা সরতাজ মাডনির উপরে একই ধারা প্রয়োগ করা হয়েছিল। গতকাল তাঁদের বিধায়ক হোস্টেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।