গত পাঁচ বছরে গুজরাটের গির অরণ্যে বেড়েছে সিংহের সংখ্যা
গত পাঁচ বছরে গুজরাটের গির অরণ্যে বেড়েছে সিংহের সংখ্যা
বিশ্বে যেখানে এশিয়াতেই সিংহের বাস, সেই ভারতের গুজরাট রাজ্যের গির জাতীয় উদ্যানে গত পাঁচ বছরে ১০০ শতাংশ সিংহ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন যে এই সিংহের গণনার পরিসংখ্যান এ বছরের মে মাসে প্রকাশ করবে হয়ত সরকার। এটা দেখানোর জন্য যে সিংহের সংখ্যা ১০০০ অতিক্রম করে গিয়েছে। প্রত্যক পাঁচ বছর অন্তর সিংহের গণনা করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
বাড়ছে সিংহ গোষ্ঠী
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, ‘সিংহের সংখ্যা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে। রাজ্যের নতুন অঞ্চলে প্রবেশ করছে সিংহ। সিংহের উপস্থিতি এখন সৌরাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলগুলির আশপাশে রয়েছে এবং তারা প্রজনন করছে। কিছু সিংহ রাজকোট, জামনগর হাইওয়েতেও দেখা যাচ্ছে এবং উপকূলের বিশাল তৃণমূলীয় অঞ্চল নিজেদের রাজত্ব স্থাপন করেছে।' তবে শুধুমাত্র একটি রাজ্যে সিংহর গোষ্ঠীর ওপর মনোনিবেশের সঙ্গে এই উদ্বেগও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে যে কোনও রোগের প্রাদুর্ভাব এই জাতিকে বিলুপ্তির পথেও নিয়ে যেতে পারে।
সিংহ গোষ্ঠী বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা
এটা রোধ করতে রাজ্য সরকার সিংহের জিন পুল প্রস্তুত করেছে এবং জিনের পরিবর্তনের জন্য পাল্টা জিন পুলের মাধ্যমে সঙ্গমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালে গুজরাটের গির অরণ্যের ২৮টি সিংহ মাত্র একমাসের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল, এই মৃত্যুর কারণ হিসাবে সরকার ক্যানাইন ডিসটেম্পারকে দায়ি করেছিল। এই ঘটনা প্রশ্ন তুলে দেয় ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে না মানার দিকে। যে রায়ে বলা হয়েছিল যে গির অরণ্যের সিংহদের বাঁচানোর জন্য তাদের অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হোক, যাতে এ ধরনের মহামারির হাত থেকে তাদের রক্ষা করা যায়।
উদাসীন গুজরাট সরকার
১৯৯৪ সালে একইভাবে তানজানিয়ার সেরেনগেটি জাতীয় উদ্যানে ক্যানাইন ডিসটেম্পার ভাইরাসে গোটা সিংহ জাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের এক কর্মকর্তার কথায়, ‘এটি একটি মারাত্মক হুমকি। তবে সিংহ স্থানান্তরের বিষয়েকোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণ হল গুজরাট সিংহ স্থানান্তরে অংশ নিতে চায় না।' প্রসঙ্গত, গুজরাতের গির জাতীয় উদ্যান থেকে মধ্য প্রদেশের কুনো-পালপুর বন্যজীবন অভয়ারণ্যে এশিয়াটিক সিংহদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা ১৯৯৩-৯৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে।