'৩০ হাজার ব্রু শরণার্থী বসবাস করতে চলেছেন ত্রিপুরায়', ২৫ বছরের সমস্যা ইতি টেনে দাবি শাহের
'৩০ হাজার ব্রু শরণার্থী থাকতে চলেছেন ত্রিপুরায়', ২৫ বছরের সমস্যা ইতি টেনে দাবি শাহের
দিল্লির বুকে আরও এক ' ঐতিহাসিক ' চুক্তি ঘটে গেল এদিন । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তত্ত্বাবধানে আজ দিল্লিতে স্বাক্ষরিত হল ব্রু শরণার্থী চুক্তি। যার ফলে এবার এই শরণার্থীদের ঘিরে গত ২৫ বছরের যে জটিলতা ছিল , তা সমাধান হল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। হাজির ছিলেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরাম থাঙ্গা।
|
ত্রিপুরায় বসবাস করবেন ব্রু শরণার্থীরা
এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দেন , আগামী দিনে ব্রু শরণার্থীরা বসবাস করবেন ত্রিপুরাতে। প্রায় ৩০ হাজার এমন শরণার্থীকে জায়গা দেবে ত্রিপুরা। এরজন্য ৬০০ কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে।
|
মিজোরাম থেকে ত্রিপুরায় স্থানান্তরিত হবেন শরণার্থীরা
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ব্রু শরণার্থীদের বসবাসের স্থান নিয়ে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে বিতর্ক ছিল। এদিন এক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সরকার জানিয়ে দেয় যে এবার থেকে মিজোরাম নয় ত্রিপুরাতে থাকবেন এই শরণার্থীরা। ফলে ব্রু উপজাতির মানুষ এবার থেকে ত্রিপুরার ভোটার লিস্টে জায়গা পাবেন।
|
ব্রু উপজাতি আসলে কোন এলাকার ?
প্রসঙ্গত, মিজোরাম , ত্রিপুরা এলাকায় ব্রু উপজাতির মানুষরা বসবসা করেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে। এদিকে, বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম এলাকায় বহু ব্রু উপজাতির বসবাস। আর বাংলাদেশ থেকেই এদেশে এর আগে বহু সময়ে ব্রু উপজাতির মানুষ শরণার্থী হিসাবে আসেন। তাঁদের বসবাসের জায়গা নিয়ে যদিও বিতর্ক ছিল বহুদিনের।
|
কী দেওয়া হবে এই শরণার্থীদের?
১৯৯৭ সালে ত্রিপুরাতে আসা এই ব্রু উপজাতির শরণার্থীদের জন্য ত্রাণের ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে। এঁদের জন্য ৬০০ গ্রাম চাল সহ ৪০x৩০ ফুটের জমি দেওয়া হবে প্রত্যেককে। সঙ্গে থাকছে সরকারের তরফে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকার সাহায্য। এই সাহায্য আগামী ২ বছরের জন্য দেওয়া হবে। থাকবে ৪ লাখ চাকার ফিক্স ডিপোজিট।