কংগ্রেসকে বাঁচানোর সাধ্য নেই কারোর! ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে অন্তর্দ্বন্দ্ব উঠে আসতেই খোঁচা শিবরাজের
এবার কংগ্রেসকে খোঁচা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারলেন না মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। এদিনে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করে ফের একবার দলটির টিকে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। কংগ্রেসে লাগাতার বাড়তে থাকা এই সমস্যা নিয়ে এবার তাদেরকে একহাত নিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
কংগ্রেসের বৈঠকে তুলকালাম
কংগ্রেসের অন্দরে চলা ডামাডোল নিয়ে মুখ খুললেন শিবরাজ সিং চৌহান। সূত্রের খবর, আজ বৈঠকের শুরুতেই তাঁর পরিবর্ত খুঁজতে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের বলেন সনিয়া গান্ধী। কিন্তু, তাঁরই এই পদে থাকা উচিত বলে পরামর্শ দেন মনমোহন সিং। পদ না ছাড়ার জন্য আবেদন করেন এ কে অ্যান্টনিও।
এই পরিস্থিতির নেপথ্যে ছিল ২৩ জন কংগ্রেস নেতার একটি চিঠি
আর এই পরিস্থিতির নেপথ্যে ছিল ২৩ জন কংগ্রেস নেতার একটি চিঠি। সনিয়া গান্ধী দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর কাটতে না কাটতেই আবারও দলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দাবি জানায় শীর্ষ নেতৃত্ব। ২৩ জন শীর্ষনেতা এই মর্মে সনিয়া গান্ধীকে চিঠিও লিখেছিলেন। পাশাপাশি তাঁরা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের চিঠির উত্তরে সনিয়া গান্ধী জানিয়েছিলেন, বৈঠক হবে। সকলে মিলে নতুন সভাপতির খোঁজ করা হবে।
মুখ খোলেন রাহুল গান্ধী
এরপরই সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, এবিষয়ে এদিন মুখ খোলেন রাহুল গান্ধীও। যদিও তিনি নিজে সভাপতি পদে নতুন মুখের দাবি করে এসেছেন, তাও এই চিঠি দেওয়ার সময় নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। রাহুলের দাবি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে যেভাবে দল সংকটে পড়েছিল, এবং এই একই সময় সনিয়ার যেভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতী হয়; এরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই চিঠি তখন দেওয়া উচিত হয়নি। শুধু তাই নয়, যএ কংগ্রেস নেতারা এই চিঠি লিখেছেন, তাঁরা বিজেপিকে মদত করছেন বলেও অভিযোগ করেন রাহুল।
কংগ্রেসকে খোঁচা শিবরাজ সিং চৌহানের
এই প্রসঙ্গে শিবরাজ সিং চৌহানকে বলতে শোনা যায়, 'যখন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজি সুর চড়িয়েছিলেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এখন যখন গুলাম নবি আজাদ এবং কপিল সিব্বলের মতো নেতারা একজন স্থায়ী দলীয় সভাপতি চাইছেন, তাদের বিরুদ্ধেও বিজেপির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এই দলটাকে সত্যি কেউ বাঁচাতে পারবে না।'
অসন্তুষ্ট কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা
এদিকে যে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে তাতে স্বাক্ষর রয়েছে কপিল সিব্বল, শশী থারুর, গুলাম নবী আজাদ, পৃথ্বীরাজ চৌহান, বিবেক তানখা এবং আনন্দ শর্মার মতো প্রবীণ নেতাদের। দাবি করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী যদি দলের সভাপতি পদ গ্রহণে ইচ্ছুক না হন তবে দলের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে উপযুক্ত নেতা বেছে নেওয়া হোক ৷ সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্ব থেকে তৃণমূলস্তর,সব জায়গাতেই আমূল সংস্কারেরও দাবি তুলেছেন কংগ্রেসের ওই পোডখাওয়া প্রবীণ নেতারাই৷
জল্পনা নয়, সত্যি মারা গিয়েছেন কিম জং উন! উত্তর কোরিয়ার গদিতে ইয়ো জং