রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের অবসান! ভূমিপুজোর দিনে বললেন ইকবাল আনসারি
বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দির তৈরির মামলায় অন্যতম আবেদনকারী ইকবাল আনসারির কথায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটেছে। এখন মন্দির ও মসজিদের বিতর্ক অমূলক। এছাড়া তিনি আরও বলেন, 'সরকার থেকে মসজিদ তৈরির জন্য যে জমি দেওয়া হয়েছে, তাতে আগে থেকেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু মসজিদ রয়েছে। এখানে উন্নয়নের দরকার। তাই স্কুল ও হাসপাতাল তৈরি হওয়াটা দরকার।'
মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি
ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সেই জমিতে এখন ধান চাষ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইকবাল আনসারি ও অন্যান্য স্থানীয়রা চাইছেন, ওই জমিতে স্কুল ও হাসপাতাল তৈরি করা হোক।
বিশাল রাম মন্দির তৈরি
অযোধ্যা জমিজট মামলায় ঐতিহাসিক রায় আসার পর বিশাল রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে রামনগরী অযোধ্যায়। হিন্দু বিশ্বাস মতে, যেখানে রামের জন্ম হয়েছিল, সেখানেই তৈরি হচ্ছে মন্দির। ইকবাল আনসারির বক্তব্য, মসজিদ তৈরির জন্য জমির আশেপাশে ২০টি আরও পুরানো মসজিদ রয়েছে যা সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আওতাধীন। রাজ্য কৃষি দপ্তর যে পাঁচ একর জমি মসজিদের জন্য দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে একটি ইদগাও রয়েছে।
মসজিদের এলাকায় স্কুল ও হাসপাতাল তৈরির বার্তা
এদিকে ইকবাল আনসারি জানিয়েছেন, সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের সভাপতি জাফর ফারুকি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাননি। যখনই জাফর ফারুকিকে ফোন করার চেষ্টা করা হয়েছে, তাঁকে পাওয়া যায়নি। সংবাদপত্র ও অন্যান্য মাধ্যমের সাহায্যে স্কুল ও হাসপাতাল তৈরির বার্তা ফারুকির কাছে পৌঁছালেও তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি। তবে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির বাবরি মসজিদ নিয়ে করা মন্তব্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ইকবাল মন্তব্য করতে চাননি কিছু।
মসজিদের জন্য নির্ধারিত জমির ব্যবহার নিয়ে কথা শুরু করেছে
একদিকে যখন রাম মন্দির তৈরি হতে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়েই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো মসজিদের জন্য নির্ধারিত জমির ব্যবহার নিয়েও কথা হতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে করোনার সংক্রমণের কারণে ধান্নিপুর গ্রামসভায় বাইরের কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ আছে।
'জয় শ্রীরাম!' অযোধ্যায় কয়েক শতকের অপেক্ষার অবসানের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী মোদীর