একলা চলার বার্তা দিয়েও বিজেপি-জোটের সুখ্যাতি নীতীশ-বয়ানে, অন্য অঙ্ক বিহারে
লোকসভা ভোট মিটতেই বিহার বাদে অন্যত্র একক লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। একদিন পরই মুখ্যমন্ত্রীর গলায় অন্য সুর।
লোকসভা ভোট মিটতেই বিহার বাদে অন্যত্র একক লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। রবিবার জেডিইউয়ের জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের পর একক লড়াইয়ের বার্তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী সওয়াল করলেন, বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনো দ্বন্দ্ব নেই, এনডিএতে তিনি ভালোই আছেন।
কোনও মতপার্থক্য নেই
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার সোমবার বলেন, বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও মতপার্থক্য নেই। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক আগের মতোই সুমধুর আছে। বিহারের এনডিএতে কোনও ভেদাভেদ নেই। তাঁরা এনডিএর অংশই আছেন। আগামী বছরের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ এনডিএ-র শরিক হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে তিনি জানান।
বিহার ভিন্ন অন্য রাজ্যে একা
একইসঙ্গে তিনি ফের জানিয়ে দেন, তাঁরা এনডিএ থেকে সরে আসছেন না ঠিকই, তবে বিহার-ভিন্ন অন্য রাজ্যে তাঁরা এককভাবেই লড়বেন। দিল্লি, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনে তারা এনডিএ-শরিক থাকছে না। জেডিইউয়ের জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে অন্যসব রাজ্যে জোট ছিন্ন করার বার্তা দেন নীতীশকুমার।
ক্যাবিনেট প্রসারণে বিজেপিকে বার্তা
নীতীশ কুমার অন্যরাজ্যে এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণার পাশাপাশি নিজের ক্যাবিনেট প্রসারিত করেও বিজেপিকে কড়া বার্তা পাঠান। নয়া আট মন্ত্রীর সবাই-ই জেডিইউয়ের। বিজেপির একজনকেও এদিন মন্ত্রিসভায় রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
মোদীর ক্যাবিনেটে কেউ না
৩০ মে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নেওয়ার পরেই মনোমালিন্যের সূত্রপাত। জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশের দাবি ছিল তাঁর দল থেকে অন্তত দুজনকে মন্ত্রী করার। কিন্তু মাত্র একজনকে মন্ত্রী করা হয়। এরপরই জেডিইউয়ের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মোদীর ক্যাবিনেটে তাঁদের কেউ থাকবেন না। তবে একা লড়ার বার্তা দিয়েও এনডিএ-র পক্ষেই সওয়াল করেন তিনি।