পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার সঙ্গে পাকিস্তান যোগের প্রমাণ পেল এনআইএ! তদন্তে উঠে এল পরিকল্পনার বিশদ
গতবছরই পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এরপরেই পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার বদলা নিতে বালাকোটের জইশ জঙ্গিদের ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই একটি এয়ার স্ট্রাইকেই নিমিষে মাটিতে মিশে গিয়েছিল পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া ভারত বিরোধী জঙ্গিদের অনেকে। তবে এই সব একবছরের কিছুটা বেশি পেরিয়ে যাওয়ার পর নতুন করে পুলওয়ামা হামলা নিয়ে তথ্য উঠে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলওয়ামা হামলার সময় বদল হয়
পুলওয়ামা হামলা নাকি হওয়ার কথা ছিল আরও একসপ্তাহ আগে। অর্থাৎ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই হামলাকে কার্যকর করার পরিকল্পনা নিয়েছিল জঙ্গিরা। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে সেই হামলা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল জঙ্গিরা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এনআইএ-কে জানায় আটক শকির বশির নামক জইশ জঙ্গি।
পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানের যোগ
এদিকে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যেই বিষয় এনআইএ-কে বশির জানিয়েছে তা হল, এই হামলা সংক্রান্ত পরিকল্পনার বিশদ। বশির জানায়, পাকিস্তান থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে এই হামলার পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায়। পাকিস্তানের নির্দেশের পরই এই হামলার যাবতীয় কাজ শুরু করে জেইএম জঙ্গি নেতারা।
একমাস ধরে পুলওয়ামায় নজরদারি চালায় জঙ্গিরা
বশির জানায় কী ভাবে একমাস ধরে পুলওয়ামার ওই রাস্তা দিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের কনভয়কে যেতে আসতে লক্ষ্য করেছে সে। পরে সেই তথ্য় কাজে লাগিয়েই এই হামলা চালানো হয়। সে জানায়, এই আত্মঘাতী হামলায় নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি ছল তিন জঙ্গি। তাদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল ২০ বছরের আদিল আহমেদ দারকে। আর এই হামলার যাবতীয় প্ল্যানিংয়ের দায়িত্ব ছইল মুদাস্সির খানের উপর। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এক এনকাউন্টারে সে মারা যায়।
পাকিস্তান থেকে আসে বিস্ফোরক
বশির নিজে হাতে হামলায় ব্যবহৃত গাড়িটিকে মোডিফআই করেছিল। তাতে ৫০ কিলো বিস্ফোরক ঢুকিয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছে। পাকিস্তানে থাকা জেইএম নেতারা সেই বিশাল পরিমাণের বিস্ফোরক জোগার করেছিল বলে সে জানায়। এমন কি হামলার কয়েক মুহূর্ত আগে পর্যন্ত গাড়ির স্টিয়ারিং বশিরের হাতে ছিল। পরে সে হামলার আগে গাড়ি থেকে নেমে যায়।
জারি থাকবে জিজ্ঞাসাবাদ
এদিকে এনআই-এর তরফে পুলওয়ামা হামলায় জঙ্গি যোগে কাশ্মীরের যেই পিতা-কন্যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে খুব শীঘ্রই জাজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ধৃত দুজনেই জম্মু-কাশ্মীরের লেথপোড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। পুলওয়ামা হামলায় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল দার ও শাকির মাগরির সঙ্গে এই দুজনের দীর্ঘদিনের যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে।