মোদীর ভাষনে অমিল থালা বাজানো, প্রদীপ জ্বালনোর মতো ‘নতুন টাস্ক’, হতাশ নেটিজেনরা
মোদীর ভাষনে অমিল থালা বাজানো, প্রদীপ জ্বালনোর মতো ‘নতুন টাস্ক’, হতাশ নেটিজেনরা
মঙ্গলবার দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউনের শেষদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের জন্য উদগ্রীব হয়েছিল দেশবাসী। বর্ধিত লকডাউন শেষের সীমা জানা যায় ৩রামে। কিন্তু রাত ৮টায় থালা বাজানো এবং রাত ৯টায় ৯মিনিটের জন্য মোবাইল ফ্ল্যাশ জ্বালানো, এমন দুই 'টাস্ক'-এর পর নতুন কোনো টাস্ক না আসায় স্বভাবতই হতাশ গৃহবন্দি নাগরিকরা।
ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
মার্চ মাস থেকে করোনা প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়ার সময় থেকেই প্রধানমন্ত্রী পরপর দুটি ঘোষণা করেন। ২২শে মার্চে ট্রায়াল লকডাউন 'জনতা কার্ফু'-র পরে ২৪শে মার্চ ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার তা বাড়িয়ে করা হল ৩রা মে। অন্যদিকে এর আগে পাঞ্জাব, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
আগের দুই ভাষণে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর 'টাস্ক'
আগের দুই ভাষণেই প্রধানমন্ত্রী ঘরবন্দি দেশবাসীকে একটি করে 'টাস্ক' দেন। ২২শে মার্চ স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে রাত ৮টায় ব্যালকনি থেকে থালা বাজানোর আহ্বান ও করোনাভাইরাসকে যুদ্ধে হারানোর জন্যে ৫ই এপ্রিল রাত ৯টায় ৯মিনিট ধরে মোবাইলের ফ্ল্যাশ বা প্রদীপ জ্বালানোর ডাক অসংখ্য দেশবাসী সাদরে গ্রহণ করেন। ফলস্বরূপ সামাজিক মাধ্যমে অত্যুৎসাহী নাগরিকদের নানারকমের ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় শুধু থালা না, টিন, ডিশ অ্যান্টেনা হোক বা টিনের দরজা সবকিছুই বাজানো হচ্ছে সমানতালে। তাছাড়া ৫ই এপ্রিল রাত ৯টায় দ্বীপ জ্বালার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রীর কথা রাখতে ও করোনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে বাজি-পটকা ফাটিয়ে অকাল দ্বীপাবলি পালন করা হয় দেশজুড়ে। যদিও তারপরেও তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই প্রধান মন্ত্রীর পক্ষে দাঁড়িয়ে তার নির্দেশের অপবখ্যা হয়েছে বলেও জোরদার আওয়াজ তোলেন।
মঙ্গলবারের ভাষণে নেই নতুন 'টাস্ক', হতাশ নেটিজেনরা
অনেকেই মজা করে বলছেন বাড়ি বসে বসে বিমর্ষ হয়ে পড়া দেশবাসীর কাছে একমাত্র আশার আলো ছিল প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গলবারের ভাষণ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন এইবারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর ভুল করেননি। ১০০০০-এর বেশি আক্রান্ত ও ৩৫৮জনের মৃত্যুর পর এই প্রথম নরেন্দ্র মোদির ভাষণে শুধুমাত্র করোনা সংক্রান্ত কথা শোনা যায়, যেখানে বর্ধিত লকডাউনের জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু নতুন কোনো টাস্ক দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন।
মিমে ছেয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া
যদিও মঙ্গলবার মোদী পুনরায় ভাষণ দেবেন তারপরেই তীব্র কৌতূহলে মাতোয়ারা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। সোমবার রাত থেকেই চলছিল প্রহর গোনা। কিন্তু মঙ্গলবারের ভাষণের পরপরই ট্যুইটার থেকে ফেসবুক, সর্বত্র 'টাস্ক'-এর জন্যে হাহাকার পড়ে যায়। নেটিজেনরা প্রধানমন্ত্রীর টাস্ক না পাওয়ায় একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে চারিদিকে, "আমরা কি টাস্ক পাব না? পাব না আমরা টাস্ক?"
এবারের লকডাউন আরও কড়া, ইঙ্গিত এমনই
মঙ্গলবারের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বাড়িতে তৈরি মাস্ক পড়া, কর্মী না ছাঁটাই করার মত সাতটি অনুরোধ করেন দেশবাসীর কাছে। তিনি আরও জানান, অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে ২০শে এপ্রিল থেকে লকডাউনের বিধি শিথিল হবে।
লকডাউনের জের; রপ্তানি করতে না পেরে দুধ ফেলতে হচ্ছে নর্দমায়, মাথায় হাত দুধ ব্যবসায়ীদের