দেশব্যাপী জনগণনা আগামী বছরে, এনপিআর-এর সঙ্গে জনগণনার সম্পর্ক নিয়ে আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
জনগণনার সঙ্গে এনপিআর-এর কোনও তফাত নেই। এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি
জনগণনার সঙ্গে এনপিআর-এর কোনও তফাত নেই। এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি। তিনি ঘোষণা করেন আগামী বছরে দেশব্যয়াপী জনগণনার কাজ গ্রহণ করা হবে।
৯-২৮ ফেব্রুয়ারি জনগণনা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, জনগণনার কাজ করা হবে ৯ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সম্পর্কে বাকি তথ্য সংগ্রহ করা হবে ২০২০-র এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। জনগণনার সঙ্গে এনপিআর-এর কাজও করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই কাজ করা হবে স্মার্টফোনে থাকা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে।
জন্ম ও মৃত্যু নথিভুক্ত করতে সিআরএস
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিষের রেড্ডি জানিয়েছেন, দেশে জন্ম ও মৃত্যু কড়া ভাবে নথিভুক্ত করতে সিভিল রেডিস্ট্রেশন সিস্টেম(সিআরএস) অনুসরণ করা হবে। তাঁর অভিযোগ পূর্বতন সরকার সিআরএস নিয়ে অবহেলা করেছে। জনগণনা আর সিআরএস-এর কাজ করতে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সিএএ কোনও নাগরিকের বিরুদ্ধে নয়
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেছেন সিএএ কোনও নাগরিকের বিরুদ্ধে নয়। তাঁর দাবি, এসম্পর্কে ভুল ধারনা আর ভুল তথ্য নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। এসম্পর্কে বিরোধীদের অভিযুক্ত করেছেন তিনি। মন্ত্রীর দাবি সিএএ-তে ভারতীয় মুসলিম কিংবা অন্য কোনও ধর্মের বিপক্ষে কোনও কথা বলা হয়নি।
১৯৫৫-এর নাগরিকত্ব আইন
সোমবার হায়দরাবাদে পথে সিএএ-র সমর্থনে পথে নেমেছিল বিজেপি। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে লক্ষ্মণ বলেন, ১৯৫৫-এর নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, একজন বিদেশি ভারতীয় নাগরিক হতে পারতেন পাঁচ উপায়ে। যার মধ্যে রয়েছে, জন্ম, বংশোদ্ভুত, নিবন্ধকরণ, প্রাকৃতিককরণ এবং সংযোজনের মাধ্যমে। নতুন নাগরিকত্ব আইনে দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, নতুন আইনেও মুসলিমরাও এদেশের নাগরিক হতে পারবেন ন্যাচেরালাইজেশনের মাধ্যমে।