জামিনের তিনসপ্তাহ পর জেলে ফিরলেন পিঞ্জরা তোড় সদস্য নাতাশা নারওয়াল, থাকবেন আইসোলেশনে
জামিনের তিনসপ্তাহ পর জেলে ফিরলেন পিঞ্জরা তোড় সদস্য নাতাশা নারওয়াল
কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান বাবা। এরপরই অন্তর্বতীকালীন জামিনে ছাড়া পেয়ে বাবার শেষকৃত্য করেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া তথা ইউএপিএ ধারায় জেলবন্দী থাকা সমাজকর্মী নাতাশা নারওয়াল। তিসপ্তাহের জামিন শেষে তিনি রবিবারই আত্মসমর্পণ করেন তিহার জেলে।
তিহার জেলের এক শীর্ষ অধিকর্তা জানিয়েছেন যে রবিবারই নাতাশা জেলে ফিরে আসেন। তবে তাঁকে আরও দু’সপ্তাহের জন্য আইসোলেটে রাখা হবে এবং তাঁর স্বাস্থ্যের ওপরও নজর রাখবে জেল কর্তৃপক্ষ। এরপরই তিনি অন্য বন্দীদের সঙ্গে যোগ দেবেন। প্রসঙ্গত, উত্তর–পূর্ব দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পিঞ্জরা তোড় গোষ্ঠীর কর্মী নাতাশা গ্রেফতার হন গত বছরের মে মাসে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মে সিপিএমনেতা তথা নাতাশা নারওয়ালের বাবা মহাবীর নারওয়ালের মৃত্যু হয় করোনায়। এরপরই শেষকৃত্যে থাকতে চেয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন নাতাশা। দিল্লি হাইকোর্ট তিন সপ্তাহের সেই জামিন মঞ্জুর করে। নাতাশার ভাই আকাশ নারওয়ালও আইসোলেশনে রয়েছেন। তিনি করোনা পজিটিভ। এই আবহে মহাবীরের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার কেউ ছিল না। এই যুক্তিতেই জামিনের আবেদন করেছিলেন নাতাশা। তাঁকে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়।
মুখ্যসচিব বদলি কাণ্ডে বাংলার পাশে দিল্লি সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে টুইট কেজরিওয়ালের
প্রসঙ্গত, হস্টেল ও পেয়িং গেস্টদের থাকার জায়গায় মেয়েদের স্বার্থরক্ষার লক্ষ্যে পিঞ্জরা তোড় সংগঠন তৈরি ২০১৫ সালে। গত বছরের মে মাসে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল নাতাশা নারওয়ালকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ নামক দমনমূলক আইনটিও প্রয়োগ করা হয়। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তর–পূর্ব দিল্লি। এই আইনের সমর্থক ও প্রতিবাদীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়, যার জেরে কমপক্ষে ৫৩ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন ২০০ জন।