নরেন্দ্র মোদীর জীবনের কিছু নজরকাড়া ঘটনা, অজানা অধ্যায় একনজরে
৭০ বছরে পা দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে ঘিরে এদিন বিজেপির তরফে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের দোলাচল পরিস্থিতিতে দিল্লির তখতে বসা এই রাষ্ট্রনেতার জীবনের কিছু নজর কাড়া ঘটনা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
কৈশোরের মোদী
কৈশোর কাল থেকেই নরেন্দ্র মোদীর দেশভক্তি ছিল অতুলনীয়। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তিনি তাঁদের চায়ের দোকানে আসা সৈনিকদের দেখে অনুপ্রাণিত হতে থাকেন, বলে বহু সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মোদী।
একক সফর
একটা সময় জীবনের চেনা গণ্ডি পেরিয়ে নরেন্দ্র মোদী পরিব্রাজক হিসাবে বেরিয়ে পড়েন। বাড়ি ছেড়ে কার্যত সন্ন্যাসের পথে এগিয়ে যান তিনি। সেই সময় হিমালয়ের বহু সাধুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। আর জীবন দর্শন সম্পর্কে এক অনন্য পাঠ পান মোদী।
মোদী ও রামকৃষ্ণ মিশন যোগ
উল্লেখ্য়, স্বামী বিবেকানন্দের দেখানো রাস্তার প্রতি একটা সময় প্রবলভাবে আকৃষ্ট হন অল্প বয়সী মোদী। সেই সময় তিনি সোজা চলে আসেন বেলুড়ে। সেখানে বিবেকানন্দের রাস্তা নেবেন বলে স্থির করেন। এরপর সেখানে আত্মস্থানন্দ পরামর্শ দেন, সন্ন্যাসের রাস্তা মোদীর জন্য নয়। আত্মস্থানন্দের কয়েকটি কথাই সেই সময় অল্প বয়সী মোদীর জীবনে আমূল পরিবর্তন এনে দেয়।
বিশ্বজুড়ে বন্ধু
নরেন্দ্র মোদীর সবচেয়ে বড় সহজাত ক্ষমতা হল, তাঁর বন্ধুত্ব পাতানোর ক্ষমতা। বিশ্বের তাবড় নেতাদের সঙ্গে সহজেই তিনি বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিতে পারেন। যার জন্য নেতানইয়াহু থেকে ট্রাম্প, শিনজো আবে সকলেই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে সুসম্পর্ক রেখে চলেন।
ফটোগ্রাফি ও মোদী
ফটোগ্রাফি নিয়ে মোদীর অত্যন্ত আগ্রহ রয়েছে। তিনি মাঝে সাঝে সাহিত্যচর্চাও করেন। স্কুলে থাকাকালীন তিনি বহু নাটকে অংশ নেন।
ইমেজ ম্যানেজমেন্টে পড়াশোনা
জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইমেজ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে বিশেষ কোর্স সম্পন্ন করেন নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁর প্রাথমিক পড়াশোনা থাকলে, পাবলিক রিলেশন নিয়ে তিনি বিশেষ পড়াশোনা করেছেন।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ছুটি নেননি!
জীবনে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন একদিনও ছুটি নেননি মোদী। এমনই কর্মমুখরতার বার্তা তিনি নিজের অধস্তনদেরও দিয়ে থাকেন।