মুজফ্ফফরপুরের ঘটনা, শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ২৩ জনের বিরুদ্ধে, হোমে সুরক্ষা দিতে বসছে আধুনিক যন্ত্র
মুজফ্ফরপুর শেল্টার হোমে নিগ্রহের ঘটনায় ৬ জন পদস্থ আধিকারিক-সহ ২৩ জন সরকারী কর্মচারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বিহারের মুজফ্ফরপুরের শেল্টার হোমে নিগ্রহের ঘটনায় ২৩ জন সরকারি আধিকারিক ও কর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। তাঁদের মধ্যে চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটের ৬ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরও আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কর্মে গাফিলতি ও অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে 'টিস'-এর অডিট রিপোর্ট অনুযায়ীই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
টিস বা টাটা ইন্সস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স-এর পরিচালিত অকটি অডিটের ফলেই মুজফ্ফরপুরের নক্কারজনক ঘটনার কথা জানা গিয়েছিল। সাসপেন্ড করা হয়েছে মুজফ্ফরপুরের চাইল্ড প্রোটেক্শন ইউনিটের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর দীবেশ কুমার শর্মাকেও। সেইসঙ্গে বিহারের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট তাদের রিপোর্ট মেনে ৬ জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিগুলিকেও ভেঙে দিয়েছে। এছাড়া অডিট রিপোর্টে যে হোমগুলি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে তার প্রত্যেকটিকেই বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশিই চলছে হোমগুলিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করার ভাবনা চিন্তা। সমাজ কল্যান মন্ত্রক থেকে ভাবা হচ্ছে হোমগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো ও অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক ফিডব্যাক ডিভাইস লাগানোর কথা। দপ্তরের এক কর্তা জানান, 'হোমের এমন জায়গায় যন্ত্রগুলি লাগানো হবে, যেখানে চাইলেই কেউ অভিযোগ জানাতে পারবেন। একটি বোতাম টিপে মুখে বলেই ্ভিযোগ নথিভুক্ত করা যাবে। তারপর সেই ভয়েস মেসেজ, টেক্সট-এ রুপান্তরিত হয়ে পৌঁছে যাবে চাইল্ড প্রোটেক্ন ইউনিটের অ্য়াসিস্য়ান্ট ডিরেক্টরের মোবইলে। অভিযোগকারীর পরিচয়ও গোপন থাকবে।'