হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান ছাড়া অন্যেরা CAA-এর আওতায় নয়, রাজ্যসভায় জানাল মোদী সরকার
বুধবার একটি লিখিত বক্তব্যে সিএএ নিয়ে রাজ্যসভাতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল মোদী সরকার৷ লিখিত বক্তব্যে সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলা হয়েছে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা CAA নিয়ে কোনও রকম পুনর্বিবেচনা করবে না কেন্দ্র। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান ছাড়া অন্যে সংখ্যালঘুদের CAA-এর আওতায় আনাও হবে না বলে রাজ্য সভায় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিশেষজ্ঞদের মতে পরোক্ষে মুসলিমদের এই বিলের আওতায় না আনার কথায় রাজ্যসভায় ঘোষণা করেছে মোদী সরকার।

কী CAA?
সারা দেশে এনআরসি করার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির৷ অনেক বিজেপি নেতা মন্ত্রীই সারাদেশে এনআরসি-র কথা বলেছেন৷ অসমের NRC র পর ২০১৯ এর ১১ ডিসেম্বর সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আসে কেন্দ্র। CAA আদপে একটি ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইন। এই বিল অনুসারে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপিড়িত, আক্রান্ত, অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা আবেদনের মাধ্যমে ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে এই নাগরিকত্ব পাওয়ার কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে

CAA-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার কি নিয়ম?
এই আইন অনুসারে নাগরিকত্ব পেতে গেলে ব্যাক্তিটিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪-র আগে ভারতে এসে থাকতে হবে৷ পাশাপাশি ধর্মীয় কারণে নিপিড়ীত হয়ে দেশ ত্যাগ করে থাকতে হবে৷ ব্যক্তিটিকে শেষ ১১ বছরের মধ্যে ৫ বছর ভারতে থাকতে হবে৷ এবং শেষ ১২ মাস একটানা ভারতে থাকতে হবে৷ ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে আগে নিয়ম ছিল একটানা ১২ মাস এবং শেষ ১৪ বছরের ১১ বছর ভারতে থাকতে হত। সিএএ অনুসারে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান ধর্মের শরণার্থীদের স্থায়ী বসবাসের বছর সংখ্যা কমানো হয়েছে।

কী বলছে কেন্দ্র সরকার?
কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় চিঠি দিয়ে সিএএ পুনর্বিবেচনা নিয়ে কেন্দ্রের রায় জানতে চেয়েছিলেন ইউনিয়ন মুসলিম লিগের সাংসদ আবদুল ওয়াহাব৷ বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এই চিঠির উত্তর দিয়েই স্পষ্ট করে দেন, CAA নিয়ে কোনও রকম পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে না কেন্দ্র৷ এমনকি পূর্বে ঘোষিত ৬টি ধর্মীয় গোষ্ঠী ছাড়া আর কোন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সিএএ-এর আওতায় আসবেন না।

CAA নিয়ে প্রস্তুতি কতদূর?
২০১৯ এর ১২ ডিসেম্বর সংসদে সিএএ বিল এনেছিল কেন্দ্র৷ ১০ জানুয়ারি ২০২০ থেকে সিএএ লাগু হয়েছে৷ সিএএ-এর মাধ্যমে নতুন নিয়ম নীতি চালু করার জন্য সংসদে ২০২২ পর্যন্ত সময় চেয়েছে বিজেপি।