অযোধ্যায় মসজিদ কোথায়, নয়া আর্জি মুসলিম নেতাদের
অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল মসজিদ তৈরির জন্য মুসলিমদের ৫ একর জমি দিতে হবে অযোধ্যাতেই।
অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল মসজিদ তৈরির জন্য মুসলিমদের ৫ একর জমি দিতে হবে অযোধ্যাতেই কোনও জায়গায়। সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার অন্যতম মামলাকারী ইকবাল আনসারি দাবি করেছেন, অযোধ্যায় যে ৬৭ একর জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছিল তার মধ্যে থেকেই এই ৫ একর জমি তাদের দিতে হবে। একই দাবি জানিয়েছেন অযোধ্যার স্থানীয় মুসলিমদের একটা বড় অংশ।
১৯৯১ সালে জমি অধিগ্রহণ
১৯৯১ সালে কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত ২.৭৭ একর সহ আশপাশের প্রায় ৬৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল।
৬৭ একরের মধ্যে থেকেই ৫ একর দাবিতে জোরালো সওয়াল
সংবাদ মাধ্যমকে ইকবাল আনসারি বলেছেন, সরকার যদি তাদের জমি দিতে চায় তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে ৬৭ একরের মধ্যে হলেই। তাহলেই জমি তারা গ্রহণ করবেন। না হলে সেই অফার তারা প্রত্যাখ্যান করে দেবেন।
অযোধ্যা নিয়ে রায় বের হওয়ার পরে আনসারি বলেছিলেন তারা এনিয়ে কোনও রিভিও আবেদন দাখিল করবেন না।
স্থানীয় এক মুসলিম বুদ্ধিজীবী মওলানা জালাল আসরাফ বলেছেন, মুসলিমরা মসজিদ তৈরি করতে জমি কিনে নিতে পারবেন। এর জন্য তারা সরকারের ওপর নির্ভরশীল নন। তিনি আরও বলেছেন, সরকার যে জমি অধিগ্রহণ করেছে, সেই এলাকার মধ্যেই ১৮ শতকের সুফি সন্ত কাজি কুদওয়ার কবর ছাড়াও বহু করবস্থান এবং দরগা রয়েছে ওই এলাকার মধ্যে। সেইজন্যই তারা অধিগ্রহণ করা এলাকার মধ্যেই জমি চাইছেন।
অল ইন্ডিয়া মিলি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক খালিদ আহমেদ খান এই দাবিকে সমর্থন করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে মুসলিম পক্ষের অপর এক মামলাকারী হাজি মেহবুব বলেছেন, তাঁরা লালিপপে বিশ্বাসী নন। আগে থেকে পরিষ্কার করতে হবে কোনও জমি সরকার দিতে চায়। অযোধ্যা পুরসভার নির্বাচিত সদস্য হাজি আসাদ আহমেদ বলেছেন, বাবরি মসজিদের পরিবর্তে তারা কোনও জমি চান না। যদি আদালত কিংবা সরকার জমি দিতেই চায় তাহলে তা ওই ৬৭ একরের মধ্যে হতে হবে।
রায় গিয়েছে রামমন্দিরের পক্ষে
অন্যদিকে, ইউসুফ খান নামে এক সমাজকর্মী বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় থেকেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কেননা রায় গিয়েছে রাম মন্দিরের পক্ষে। অযোধ্যায় ধর্মীয় প্রয়োজনে অনেক মসজিদ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন এই ব্যক্তি।
জমি খোঁজ শুরু করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার
এদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রস্তাবিত মসজিদের জন্য উত্তর প্রদেশ সরকার বিকল্প জমির সন্ধান শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। সরকারের তরফ থেকে আমলাদের বলা হয়েছে বিশিষ্ট এবং আকর্ষণীয় জায়গা বাছতে।