করোনামুক্ত হওয়ার পথে মুম্বই, কস্তুরবা হাসপাতালে থাকা শেষ রোগী বাড়ি ফিরলেন
করোনামুক্ত হওয়ার পথে মুম্বই, কস্তুরবা হাসপাতালে থাকা শেষ রোগী বাড়ি ফিরলেন
পরপর তিনটি করোনা ওয়েভে দৈনিক চারলক্ষ সংক্রমণ দেখেছে ভারত। দ্বিতীয় করোনা ওয়েভের সময়, অক্সিজেন, ওষুধ, হাসপাতালে বেডের অপ্রতুলতা কাটিয়ে লড়াই করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ। তবে এই তিনটি ওয়েভে দেশের যে কটি জায়গায় করোনা সংক্রমণ ভয়ঙ্করেরও উপরে পৌঁছে গিয়েছিল তার একটি হল মুম্বই৷ করোনার তিনটি ওয়েভেই দেশের এই শিল্পনগরীকে খুবই খারাপভাবে প্রভাবিত করেছিল৷ তবে আশার কথা এই যে একেবারে করোনা সংক্রমণ মুক্ত হওয়ার পথে রয়েছে মুম্বই। বুধবার মুম্বইয়ের কস্তুরবা হাসপাতালে একমাত্র ভর্তি থাকা করোনা রোগীটিকে অসুস্থতা না থাকায় বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে কতৃপক্ষ৷
এক সময় কোভিড-১৯ মহামারীর হটস্পট হিসাবে বর্ণনা করা হত মুম্বাইকে। বুধবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে মুম্বই মহানগরী৷ কারণ শহরটি গত ২৪ ঘন্টায় মাত্র ৩৬ টি নতুন করোনা কেস রিপোর্ট হয়েছে, যার মধ্যে ৩৪ টিই উপসর্গবিহীন। এবং শেষ যে রোগীকে করোনভাইরাস সংক্রামিত হয়ে মুম্বইয়ের কস্তুরবা হাসপাতাল ভর্তি ছিলেন তাঁকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ এই কস্তুরবা হাসপাতালই মুম্বাইতে প্রথম কোভিড-১৯ এর রোগীদের চিকিতসা শুরু করেছিল। সম্ভবত ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেশে করোনার প্রথম ওয়েভ শুরু হওয়ার আগে কস্তুরবা হাসপাতাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা শুরু করেছিল। মুম্বইয়ে কোভিড -১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত প্রথম দম্পতিকেও এখানেই ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালটি প্রায় ৯০০০ রোগীর জীবন বাঁচানোর কৃতিত্ব অর্জন করেছে৷ এবং করোনা শেষ রোগীকে ছাড়ার সঙ্গেই একটি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে।
করোনা সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে হাসপাতালের আইসোলেটেড ওয়ার্ডটিতে ২০ টি বেড ছিল৷ কিন্তু বর্তমানেএই ওয়ার্ডে ২৫০ টি কোভিড বেড রয়েছে৷ কোভিড রোগীদের পরিষেবা প্রদানকারী মুম্বইয়ে বৃহত্তম হাসপাতালগুলির একটি। হাসপাতাল কতৃপক্ষ এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে তাঁরা জানিয়েছে ভারতে করোনার চতুর্থ তরঙ্গ এলেও তার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন কস্তুরবা হাসপাতাল।
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের ভয়াবহতার পর থেকে নিজের আরও বেশি করে নিঁখুত করার চেষ্টা করেছে এই হাসপাতাল কতৃপক্ষ। স্বাস্থ্যদফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে মুম্বইয়ে এখন কোনও গুরুতর করোনা রোগী নেই। এমনকি কস্তুরবা ছাড়াও মুম্বইয়ের বাকি হাসপাতালগুলিতেও মাত্র ১১ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন, যাদের মধ্যে মাত্র ২ জনের অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন রয়েছে৷ যদিও বানিজ্যনগরীতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ শূন্য হয়ে যায়নি৷ ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণের প্রথম কেস সামনে আসার পর যেটা একটা রেকর্ডই বটে৷ করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে মুম্বাইয়ে গুরুতর রোগীর সংখ্যা বেড়ে পৌঁছে গিয়েছিল ১৭০০তে৷ তৃতীয় তরঙ্গে, এই সংখ্যা ছিল ১৫০০ মতো।