কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ৯২জন প্রার্থী লড়ছেন নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে
কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ৯২জন প্রার্থী লড়ছেন নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে
একটা আসনের জন্য লড়াই ৯০ জনের। এমনটাই হতে চলেছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে। নয়া দিল্লির কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন আপ নেতা তথা রাজধানীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু এই একই কেন্দ্র থেকে তাঁর বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন ক্যাব চালক থেকে শুরু করে 'চক দে ইন্ডিয়া’র অভিনেতাও।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। রিটার্নিং অফিসে তাঁকে আরও ৬৫ জন প্রার্থীর সঙ্গে প্রায় ছ’ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। নয়া দিল্লি কেন্দ্রের প্রার্থীর সংখ্যা মোট ৯৩জন। তবে শুক্রবার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার শেষ দিন, সেদিনই এই কেন্দ্রের চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা জানা যাবে। মঙ্গলবার কেজরিওয়াল টোকেন নম্বর ৪৫–এ ছিলেন। তাঁর সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন দিল্লি পরিবহন কর্পোরেশনের (ডিটিসি) ১০ জন প্রাক্তন কর্মী, পাঁচজন ক্যাব চালক, কমপক্ষে চারজন সমাজ কর্মী, যাঁরা ২০১১ সালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন এবং জাতীয় স্তরের হকির খেলোয়াড়। যিনি 'চক দে ইন্ডিয়া’–তে অভিনয় করেছিলেন। কেজরিওয়ালের আগে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে বেড়িয়ে আসেন মনোজ শর্মা। তিনি বলেন, 'আমি ডিটিসির চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলাম। সব চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সম অধিকারের দাবিতে ২০১৮ সালে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। সেই সময় আমাদের বহিস্কার করা হয়। এটাই একমাত্র সুযোগ কেজরিওয়ালকে পরাস্ত করার।’
জাতীয় স্তরের অ্যাথলেট শৈলেন্দ্র সিং শালি এখন 'আনজান আদমী পার্টির’ সদস্য। তিনি বলেন, 'আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি কারণ আমরা স্বরাজ আনতে এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের চেয়ে ভাল বিপ্লবী রাজনীতি করতে সক্ষম।’ প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে দিল্লির মন্দির মার্গের রাস্তার মাঝখানে একটি পাবলিক বাসে আগুন ধরে যায়। সেই সময় ওই বাস থেকে আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করেন শৈলেন্দ্র সিং এবং তিনি তখন শিরোনামে উঠে আসেন। কেজরিওয়ালের আগেই ৪৪ নম্বর টোকেনে ছিলেন ক্যাব চালক পবন কুমার। তিনি বলেন, 'এই সরকার ট্যাক্সি চালকদের সমস্যাকে কিছুতেই গুকুত্ব দেয় না। অটোর ভাড়া বাড়লেও ট্যাক্সির ভাড়া বাড়ে না। সময় এসেছে ক্যাব চালকরাও এবার বিধায়ক হবেন।’ সোস্যাল মিডিয়ায় তাঁর মনোনয়ন পত্র দিতে দেরী হওয়ার কারণ চাউর হতেই ট্রোলড হতে শুরু করেন কেজরিওয়াল। যদিও তাঁর দলের সহকর্মী মণিশ সিসোদিয়া ও সৌরভ ভরদ্বাজ জানান যে এটা পুরোটাই ষড়যন্ত্র। আপের জাতীয় মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, 'আমরা শুনেছি যে প্রায় ৫০ জন প্রার্থীর একটি দল প্রতিদিন আরও এর অফিসে আসে, টোকেন নেয় তবে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে অস্বীকার করে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন যখন মুখ্যমন্ত্রী আরও অফিসে এসেছিলেন। যদিও মনোনয়ন পত্র দিতে দরি হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলার নির্বাচন অফিসার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ নাগাদ অবশেষে কেজরিওয়াল মনোনয়ন পত্র জমা দেন, ততক্ষণে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায় আরও অফিসে। তবে কাজ মিটিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
স্কুলপাঠ্যে অনুকূল ঠাকুরের জীবনী রাখার আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে